জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং তার মেয়ে-জামাতা যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন দুজনই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের ফলে জামাতার মুখে হাসি ফুটলেও পরাজয় হয়েছে শ্বশুর আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর।
১৪ দলীয় জোটের শরিক হিসেবে পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া-কাউখালী-স্বরূপকাঠী) আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন তিনি। তিনবারের মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে এবার হারিয়ে দিয়েছেন তার সাবেক এপিএস মহিউদ্দিন মহারাজ।
ঈগল প্রতীকে মহিউদ্দিন পেয়েছেন ৯৯ হাজার ২৬৮ ভোট। আর মঞ্জু পেয়েছেন ৭০ হাজার ৬৮১ ভোট।
১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত এরশাদ সরকারের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন মঞ্জু। ১৯৮৮-১৯৯০ সালে একই সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ফের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৮ সালে মন্ত্রিসভার দায়িত্ব পুনর্বণ্টন হলে পানিসম্পদ মন্ত্রী করা হয় মঞ্জুকে।
অন্যদিকে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন চৌধুরীর কাছে টানা তৃতীয়বারের মতো হারেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্লাহ। তিনি দলটির সভাপতিমণ্ডলীরও সদস্য।
এর আগে ২০১৪ সালে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রথমবার জাফরউল্লাহকে ২৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন নিক্সন চৌধুরী। ২০১৮ সালে সিংহ প্রতীকে ৪৮ হাজার ভোটে তার বিপরীতে দ্বিতীয়বার জয় পান তিনি। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাজী জাফরউল্লাহকে ২৪ হাজার ভোটে হারিয়ে হ্যাটট্রিক করলেন নিক্সন চৌধুরী।