বৃষ্টি বাড়াতে পারে শীতের তীব্রতা, কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ৯.৮
যুগান্তর প্রতিবেদন ও কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩১ পিএম
পৌষের এ সময়ে এসে সারা দেশেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাতেও তা অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। এতে শীতের তীব্রতা ও ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, তিনদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় যশোর ও কুষ্টিয়াসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে অতি ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। তা দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। অতি ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ এবং সড়ক যোগাযোগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ৯.৮ : শুক্রবার সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশার দাপট কিছুটা কম থাকলেও হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন বিপাকে। প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময়মতো কাজে বের হতে পারছেন না। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি থাকায় দুপুর পর্যন্ত বেশি ঠান্ডা অনুভ‚ত হচ্ছে। এ অবস্থায় খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেককে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে।
উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রহিম মিয়া বলেন, যতই শীত ও কুয়াশা হোক না কেন খড়ি বেচতে প্রতিদিন হেঁটে শহরে আসতে হয় আমার। বর্তমানে ঠান্ডার কারণে যাওয়া-আসায় বেশ কষ্ট হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম ধরলা ব্রিজ এলাকার অটোরিকশা চালক সুজন বলেন, আজ কুয়াশা কমায় সূর্যের দেখা মিলেছে। তবে রোদ উঠলেও ঠান্ডা খুব বেশি মনে হচ্ছে। হাত-পা বরফ হওয়ার মতো অবস্থা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, এরকম তাপমাত্রা আরও দু-একদিন থাকতে পারে।