Logo
Logo
×

জাতীয়

চীনের প্রস্তাবে ভারতের আপত্তি থাকলে ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় এগোবে বাংলাদেশ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৩ পিএম

চীনের প্রস্তাবে ভারতের আপত্তি থাকলে ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় এগোবে বাংলাদেশ

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেছেন, তিস্তা প্রকল্পে চীনের প্রস্তাবে ভারতের আপত্তি থাকলে ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় এগোতে হবে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ২১ ডিসেম্বর বলেছেন, এরই মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তিস্তা নদীবিষয়ক কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। আসন্ন নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। তিস্তা নদীর উন্নয়নে চীন কাজ করতে আগ্রহী। আশা করছি, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারব।

চীনের রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য কী? বাংলাদেশ চীনের কাছে তিস্তা নদীর উন্নয়নসংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তাব করেছে কি না। এই প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়কাল এবং ব্যয় কত? এ সকল প্রশ্নের উত্তরে সেহেলী সাবরীন বলেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে তারা সহযোগিতা করে আসছে। তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশের উন্নয়নমূলক প্রকল্পে সহযোগিতা করার ব্যাপারেও চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বিবেচনা করে দেখবে।

চীন বলছে নির্বাচনের পর তিস্তা প্রকল্পে কাজ শুরু হবে। কিন্তু চীন যেখানে তিস্তার কাজ করবে, তার থেকে শিলিগুড়ি করিডোর খুব দূরে নয়। শিলিগুড়ি করিডোরকে ভারত ‘চিকেন্স নেক’ নামেও অভিহিত করে। দেশটি মনে করে, তিস্তা উন্নয়নে কাজের নামে চীন এটাকে নিজেদের কবজায় নিতে চায়। এ কারণে ভারত তার চিকেন নেকের সামনে চীনের উপস্থিতি দেখতে চায় না। এ ক্ষেত্রে তিস্তায় চীনের কাজ নিয়ে ভারতের আপত্তি কতটুকু আমলে নেওয়া হবে?

এমন প্রশ্নের উত্তরে সেহেলী সাবরীন বলেন, এ রকম অনুমাননির্ভর প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা সহজ নয়। এ রকম কোনো প্রস্তাব যদি থাকে, তখন ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় এগোতে হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম