Logo
Logo
×

জাতীয়

বেড়েছে শীতের তীব্রতা, বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ এএম

বেড়েছে শীতের তীব্রতা, বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ

পঞ্চগড়ে আবারও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামল তাপমাত্রা। এ ছাড়া মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত আর কুয়াশায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। তাপমাত্রা বিবেচনায় মেহেরপুরে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও কনকনে ঠাণ্ডা জবুথবু অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে শ্রমজীবী মানুষের। মৃদু বাতাস আর কনকনে ঠাণ্ডায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে কয়েকগুণ।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ আবহাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। 

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সকাল ৯টায় কিছুটা কমতে পারে তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

গতকাল বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। আবহাওয়া তথ্যানুযায়ী, পঞ্চগড় গত ১৬ ডিসেম্বর থেকেই ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। গত ১৯ ডিসেম্বর রেকর্ড হয়েছিল ৯.৫, ১৮ ডিসেম্বর ৯.৭, ১৭ ডিসেম্বর ১০ ও ১৬ ডিসেম্বর ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৭টা থেকেই দেখা মেলে সূর্যোদয়ের। সূর্যের কিরণে আলো ছড়ালেও রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ কমে কনকনে ঠাণ্ডা বইতে থাকে। স্থানীয়রা জানান, বিকাল থেকে হিমেল বাতাসে সন্ধ্যার পর থেকে শীতের মাত্রাটা বেশি বাড়ে এখানে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বৃদ্ধি পায় অধিক হারে। তবে সকাল ১০টা থেকেই দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকছে।

চুয়াডাঙ্গায় রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় সবসময়ই শীত অনুভূত হচ্ছে। কনকনে শীতে দিশাহারা মানুষ। বিশেষ করে পেশাগত কারণে রাতে যাদের কাজ করতে হয় তাদের দুর্ভোগ আরও বেশি। এ বছর এখনো পর্যন্ত শীতবস্ত্র বিতরণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্রের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।  
 
তীব্র শীতের কারণে নিম্নআয়ের মানুষের বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দিনমজুরদের শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে শহরে এসে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। রিকশা ও ভ্যানচালকদের যাত্রী পাওয়ার আশায় ভোর থেকে শহরে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

মেহেরপুরে কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হতে শুরু করেছে। সবুজ ধানের চারা লালচে আকার ধারণ করেছে। চারা রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন কৃষকরা। অতিরিক্ত কুয়াশায় বোরো ধানের চারায় পচন ধরতে শুরু করেছে। লাল হয়ে বসে যাচ্ছে চারা। এ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। 

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জাহিদুল হক বলেন, 'কুয়াশা অন্যদিনের চেয়ে কম থাকায় শীত বেশি অনুভূত হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি থেকে ১২ ডিগ্রির সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

গ্রামের গৃহিণীরা জানান, সকালে কুয়াশা না থাকলেও প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। রাতে বৃষ্টির ফোঁটার মতো শিশির ঝরার শব্দ শোনা যায়। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে ওঠে। সকালে গৃহস্থালি করতে গিয়ে কনকনে ঠাণ্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে। এ সময়টাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে হচ্ছে।

এদিকে বরফঝরা শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে হিম সকালেই কাজে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, ভ্যানচালক, দিনমজুর থেকে নিম্নআয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের। পাথর শ্রমিকরা নদীতে বরফ জলের মধ্যেই নেমে পড়েন কাজে।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম