প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স পেল তিতাস অর্থনৈতিক অঞ্চল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২১ পিএম
তিতাস অর্থনৈতিক অঞ্চলকে প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।
দেশের ২২তম বেসরকারি অর্থনৈতিস অঞ্চল হিসেবে এ লাইসেন্স পেল মেঘটনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের আওতাধীন এই অর্থনৈতিক অঞ্চল।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বেজা কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে লাইসেন্সটি দেওয়া হয়েছে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ঢালিডাঙ্গায় প্রায় ১৬১ একর এলাকাজুড়ে তিতাস ইকোনমিক জোনের অবস্থান। যেটি পরবর্তীতে ৪০০ একরে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিভিন্ন জোনে নানা পণ্য উৎপাদনের জন্য শিল্প-কারখানা তৈরির প্রস্তাব রয়েছে।
এ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হিসেবে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা অনুযায়ী কারখানা ও প্রশাসনিক ভবন, পণ্যাগার, লজিস্টিক এলাকা, পানি ও বর্জ্য শোধনাগার, সড়ক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্থাপনা গড়ে তোলা হবে।
পরিবেশ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে প্রায় ৬০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল জানান, ইতোমধ্যে মেঘা গ্রুপের আওতায় তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসব জোনে মোট ২৭টি শিল্প-কারখানা নির্মিত হয়েছে এবং প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। এছাড়া আরও কিছু শিল্প কারখানা নির্মাণ ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৭টি বিদেশি প্রতিষ্ঠানও বিনিয়োগ করেছে।
শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, তিতাস অর্থনৈতিক অঞ্চলে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ জমি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন। বেজা সাধ্যমতো সরকারি যেসব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার কথা সেগুলো করার চেষ্টা করবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা কাছে হওয়ায় এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি ব্যাপক বিনিয়োগ পাওয়া যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দেশের উত্তরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জেলা কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির কাজ চলছে। সেটি ভুটানকে দেওয়ার আলোচনা হচ্ছে। গত ১৬ ডিসেম্বর ভুটানের রাজা বাংলাদেশ আসার কথা ছিল; কিন্তু নির্বাচনের কারণে তার সফর পিছিয়েছেন। তিনি এলে কুড়িগ্রামেও যেতেন। কুড়িগ্রামে প্রায় ১৩৩ একর জায়গা রয়েছে। সেটি ৩০০ একরে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।