নির্বাচনের পর বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’ ঘটানো প্রসঙ্গে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৪ এএম
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা। ফাইল ছবি
চলতি বছরের প্রায় পুরোটা সময়জুড়েই বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা নিয়ে সরব ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
এমন অবস্থার মধ্যেই বাংলাদেশে সম্ভাব্য ‘আরব বসন্তে’র মতো বিপ্লব বা অভ্যুত্থান ঘটানোর ঝুঁকির কথা সামনে আনে রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে ‘আরব বসন্তে’র মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রসঙ্গটি উঠেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এসব বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করার বিষয়টিই উল্লেখ করেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নকারীর প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে সম্ভাব্য ‘আরব বসন্তে’র মতো বিপ্লব বা অভ্যুত্থানের বিষয়ে রাশিয়ার অভিযোগ নিয়ে জানতে চান।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের ফল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সন্তোষজনক না হলে আরব বসন্তের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হতে পারে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী যে?
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করি এবং এর চেয়ে বেশি বলার মতো আমার আর কোনো মন্তব্য নেই।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনের পর ‘আরব বসন্ত’ ঘটাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র
প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশ’ বিষয়ে এক বিবৃতি দেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ভোটের ফল
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সন্তোষজনক মনে না হলে ‘আরব বসন্তে’র মতো করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হতে পারে। এমন আশঙ্কার গুরুতর ভিত্তি রয়েছে যে, আগামী সপ্তাহগুলোয় পশ্চিমা শক্তিগুলোর পক্ষে অসুবিধাজনক বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকমের অবরোধ আরোপ করা হতে পারে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সঙ্গে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের সরাসরি সম্পর্কের কথা উল্লেখ করা হয়।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের শিল্প খাতের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর ওপর আঘাত আসতে পারে। সেই সঙ্গে কিছু সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনে নাগরিকদের গণতান্ত্রিক রায় প্রদানে বাধাদানের তথ্যপ্রমাণহীন অভিযোগ তুলে পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।