থার্টিফার্স্ট নাইটে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার নির্দেশ আইজিপির
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩০ পিএম
খ্রিষ্টান ধর্মের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাঠপর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি খ্রিষ্টান কমিউনিটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দেন। রোববার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে এক সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল আহসান, এসবির অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, এটিইউর অতিরিক্ত আইজিপি এসএম রুহুল আমিন, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) আতিকুল ইসলাম, পিবিআইর অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার, যুগ্ম-মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থিওফিল রোজারিও প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গির্জায় সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি স্থাপনের জন্য খ্রিষ্টান ধর্মীয় নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানান আইজিপি। প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করবেন।
থার্টিফার্স্ট ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান আইজিপি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি আপলোড করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সুযোগ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে সাইবার মনিটরিং ও প্যাট্রলিং বৃদ্ধি ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কক্সবাজারসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেন।
সভায় থার্টিফার্স্ট নাইট এবং খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষ্যে পটকা, আতশবাজিসহ ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।