সভা-সমাবেশের অনুমতি না দিতে স্বরাষ্ট্রে ইসির চিঠি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৬ পিএম
আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত নির্বাচনি প্রচারণা ব্যতীত সভা-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজনের অনুমতি না দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনি কাজ বাধাগ্রস্ত ও ভোটাররা ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে- এমন আশঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে ইসি বলেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ধার্য করা রয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ব্যতীত নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোটদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে এরূপ কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখা বাঞ্চনীয়।
এ অবস্থায় আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা ব্যতীত অন্য কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য সব প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৫ নভেম্বর তফশিল ঘোষণা করেন। ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার পরদিন ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে প্রচার। আর ভোট হবে ৭ জানুয়ারি। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ২৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে।
বিএনপি, ইসলামী আন্দোলনসহ ১৫টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি দিয়ে আসছে। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হলেও দলটি বিএনপির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
এসব কর্মসূচি নির্বাচন আয়োজন এবং অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে বাধা হিসাবে দেখছে কমিশন। এজন্য নির্বাচন ঠেকাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন যাতে সভা-সমাবেশ করতে না পারে, সরকারকে সেই পদক্ষেপ নিতে এই চিঠি দিল ইসি।