খেলোয়াড়রা সংসদে গিয়ে কী করবে, প্রশ্ন ঢাবির ইমতিয়াজ আহমেদের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:১১ পিএম
অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বর্তমান এমপি ও রাজনীতিবিদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন খেলোয়াড় ও বিনোদন জগতের একঝাঁক তারকা। এছাড়াও দলীয় টিকিট না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা করেছেন চিত্রনায়িকা ও ব্যবসায়ী সহ নানা পেশার মানুষ।
রাজনীতিবিদের বাইরে বিভিন্ন পেশার মানুষ পার্লামেন্ট মেম্বার হলে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। এ বিষয়ে যুগান্তরের বিশেষ সাক্ষাৎকারে খোলামেলা কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন, সাকিবকে তলব
নায়ক নায়িকা গায়ক গায়িকা এমনকি খেলোয়াড়রাও এমপি হওয়ার জন্য উদগ্রীব। এটিকে কীভাবে দেখছেন?
জবাবে ঢাবির এই অধ্যাপক বলেন, আমার প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, যে যারা অভিনয় করেন বা যারা খেলোয়াড় তারা কেন সংসদ সদস্য হবেন? তারা পার্লামেন্টের মেম্বার হয়ে কী করবেন? তারা কী সংসদে গিয়ে আরও দশটা মাঠ বানাবেন। এটাতো অন্যভাবে বানানো যায়।
তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্যদের কাজটা কী এটা আগে জানতে হবে? তারা আইন প্রণয়ন করবেন। তাদের রাতদিন আইনের মধ্যেই থাকতে হবে। অনেক বই পড়তে হবে। এক কথায় পড়াশুনার মধ্যে থাকতে হবে। কোন আইন কীভাবে করলে ভালো হবে, কোন শব্দটা থাকবে বা থাকবে না এটা নির্ধারণ করতে হয় সংসদ সদস্যদের। এটা কীভাবে সম্ভব একজন খেলোয়াড় বা অভিনয় শিল্পীর দ্বারা।
তিনি আরও যোগ করেন, আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, এখন যদি আমাকে হঠাৎ ফুটবল মাঠে নামিয়ে দিয়ে বলে ফুটবল খেলতে হবে। এটা কী আমার দ্বারা সম্ভব?
এক সময় যারা আইন পড়তেন তারাই রাজনীতি করতেন। ইন্দিরা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু ও জিন্নাহ সবাইকিন্তু আইনের ছাত্র ছিলেন। আমরা সেখান থেকে সরে যাচ্ছি। তবে হাঁ ব্যতিক্রম দুএকটা হতে পারে। তবে ৬০শতাংশই যদি ব্যতিক্রম হয়, তাহলে কী করে হবে? এটা তখন ব্যতিক্রম থাকল না, নিয়মই পরিণত হল। বর্তমানে যা শুরু হয়েছে। এটা থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি।