Logo
Logo
×

জাতীয়

‘শতভাগ ফেল করা কলেজের এমপিও স্থগিত’

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫০ পিএম

‘শতভাগ ফেল করা কলেজের এমপিও স্থগিত’

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেছেন, চলতি বছর যেসব কলেজের কোনো ছাত্রছাত্রী পাশ করেনি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এবং গভর্নিং বডির সভাপতিকে নোটিশ করা হবে। যাদের মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও) ছিল, তাদের এমপিও স্থগিত করা হবে। পাঠদানের অনুমতিও বাতিল করা হতে পারে। সোমবার টেলিফোনে যুগান্তরকে তিনি এ কথা বলেন। 

দেশে ১১টি শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল রোববার ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশে মোট ৪২টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থী পাশ করেনি। তবে গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ৫০টি কলেজের কেউ পাশ করেনি। সে হিসাবে শতভাগ ফেল করা কলেজেন সংখ্যা চলতি বছর আটটি কমেছে।

শতভাগ ফেল করা কলেজের বিষয়ে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার যুগান্তরকে বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে শতভাগ ফেল করা কলেজগুলোর কোনো এমপিও নেই। ওই সব কলেজে ছাত্র শিক্ষক তেমন নেই। নামমাত্র কলেজ বলতে পারেন। নিয়মিত ক্লাসও হয় না। ফলে তাদের প্রতিষ্ঠানের ফলাফল ভালো হয় না। চেয়ারম্যান আরও জানান, আমরা অনেক খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি, ওইসব কলেছে ছাত্রছাত্রী দু-চারজনের বেশি নয়। শিক্ষকও নেই বললে চলে। 

এখন কথা হচ্ছে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা প্রথমত আমরা তাদের শোকজ করব। এরপর অধ্যক্ষ ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে ডেকে পাঠাব। তাদের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করব। সন্তোষজনক জবাব মিললে তাদের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নিয়ে আগামীবার ফলাফল ভালো করার জন্য সময় দেব। আর ফেল করার গ্রহণযোগ্য কোনো জবাব না পাওয়া গেলে তাদের পাঠদানের অনুমতি বাতিল করা হবে। তবে আমরা গত বছর সময় দিয়ে দেখেছি, যেসব প্রতিষ্ঠান গত বছর ফলাফল খারাপ করেছে তারা এ বছর ভালো করেছে। 

সংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র জানায়, কলেজ পরিচালনা কমিটিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান তদারকি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে তাদের চাপের ওপর রাখলে এবং পাঠদান যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে পারলে সবাই ফেল করার কথা নয়। চেষ্টা করেও যদি কারও মান উন্নয়ন করা সম্ভব না হয়, তখন ওই সব কলেজের পাঠদানের অনুমতি এবং চূড়ান্ত ব্যবস্থা হিসেবে এমপিও বাতিল করা হয়। আমরাও তাই করব। 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, গতবার যেসব প্রতিষ্ঠানের শতভাগ ফেল ছিল, এবার তারা ভালো করেছে। আশা করি তদারকি বাড়ালে, এবার যারা খারাপ করেছে তারা আগামীতে ভালো করবে। 

চলতি বছর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পাঁচটি, রাজশাহী চারটি, কুমিল্লা একটি, যশোর একটি, চট্টগ্রাম তিনটি. দিনাজপুর ১৬টি, ময়মনসিংহ চারটি এবং মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় দুটি প্রতিষ্ঠানের কেউ পাশ করেনি। বরিশাল, সিলেট ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কোনো কলেজের কোনো ছাত্রছাত্রী ফেল করেনি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম