দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ট্যারিফ মূল্যসহ ৭ প্রস্তাব অনুমোদন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১০:০৮ পিএম
দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের দরপত্র ও ট্যারিফ মূল্যের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এর মধ্যে রয়েছে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট (এসি) সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১১ মেগাওয়াটের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
বুধবার অনুষ্ঠিত ওই কমিটির বৈঠকে বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়াও এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৯০ হাজার টন সার আমদানিসহ ৭টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা।
এর আগে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন দেশ থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে টিএসপি, ডিএপি এবং এমওপি সার আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। সরকারের ক্রয় এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত দুটি মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান প্রস্তাবের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করবে যৌথভাবে বিইআইএইচসিএল, চীন; বিজেডএইচই, ইএনএএম এবং এমএনএস। ২০ বছর মেয়াদে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে চুক্তি করার অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে ২০ বছর মেয়াদে উক্ত কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১১ টাকা হিসাবে আনুমানিক ৩ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় বিল্ড ওন অপারেট পদ্ধতিতে স্থাপন করা হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। এটি যৌথভাবে পরিচালনা করবে সিদ্দিক ফেব্রিক্স লিমিটেড-ইনটেক এনার্জিস এবং সাউদিয়া জার্মান পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেড (এসএফ-এলই-এসজিপিপিএল জেভি)। প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট ঘণ্টা) বিদ্যুতের দাম ০.১৯১০ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১.১০৫ টাকা) হিসাবে ২৫ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ কেনার ব্যয় হবে ৪ হাজার ৬৮ কোটি টাকা।
বৈঠকে টিসিবির জন্য সয়াবিন তেল সরবরাহ দেবে প্রিন্সিপ্যাল : গ্রীন ন্যাশনাল বিল্ডার্স অ্যান্ড ডেভেলপার্স। ভারতের কাছ থেকে ২ লিটার পেট বোতলে প্রতি লিটার ১৫৪.২৯ টাকা হিসাবে কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ১৪৩ কোটি টাকা। সেখানে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৮৩.৮৩ ডলার। সে হিসাবে ব্যয় হবে প্রায় ১২৮ কোটি টাকা।
এছাড়া কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ এর কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনা হবে। প্রতি টনের দাম পড়বে ৩৬৩ ডলার। সে হিসাবে মোট ব্যয় হবে ১২১ কোটি টাকা।
সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতি টন ৩৭০ ডলার। ব্যয় হবে ১২৩ কোটি টাকা। আর ‘আরিচা (বরঙ্গাইল)-ঘিওর-দৌলতপুর-নাগরপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের একটি প্যাকেজের পূর্ত কাজের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ১১৩ কোটি টাকা।