Logo
Logo
×

জাতীয়

ডেঙ্গুতে আরও আট মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৪

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫২ পিএম

ডেঙ্গুতে আরও আট মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৪

সারা দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৬২ জনে। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৮৪ জন। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন চার হাজার ৪৬২ ডেঙ্গু রোগী। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক হাজার ৮৪ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২২১ এবং ঢাকার বাইরের ৮৬৩ জন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা পাঁচজন, ঢাকার বাইরের তিনজন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ লাখ ৩ হাজার ৫৩৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৬ হাজার ৪২ জন, আর ঢাকার বাইরের এক লাখ ৯৭ হাজার ৪৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ২৬৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২৮১ জন এবং ঢাকার বাইরের ৯৮৬ জন। 

চলতি বছরের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫১২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৪ হাজার ৫ জন এবং ঢাকার বাইরের এক লাখ ৯৩ হাজার ৫০৭ জন। ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে ৭ জন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।

জনস্বাস্থ্যবিদরা যুগান্তরকে বলছেন, ডেঙ্গু ভাইরাসের নির্ধারিত মৌসুমের আগেই এবার এডিস মশার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অসময়ের বৃষ্টিপাত মশার প্রজননকাল দীর্ঘায়িত করছে। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে। রোগটি থেকে মুক্তি পেতে এডিসের লার্ভা ধ্বংসে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম