Logo
Logo
×

জাতীয়

বিএসএমএমইউর বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা

ছয়জন গর্ভবতীর একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২৩ পিএম

ছয়জন গর্ভবতীর একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

দেশে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। যার ফলে সন্তান সম্ভাবা মা ও অনাগত শিশু উভয়েই ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসা নিতে আসা শতকরা ৩৫ ভাগ গর্ভবতী মহিলার রক্তের গ্লুকোজ অস্বাভাবিক পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে প্রতি ছয়জন মায়ের মাঝে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সন্তান জন্মের ৬ সপ্তাহ পর শতকরা ৫০ ভাগ গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মায়ের রক্তের গ্লুকোজ স্বাভাবিক হয়নি।

সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কম্প্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অফ হাইপারগ্লাইসেমিয়া ইন প্রেগনেন্সি শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন মিলনায়তনে  মা ও প্রসূতি বিভাগ, ফিটোমেটাল মেডিসিন বিভাগ ও এন্ডোক্রাইনোলোজি বিভাগ যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে বলা হয়, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এর কুফল থেকে মা ও সন্তানকে মুক্ত রাখা যায়। এজন্য গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগীকে একজন ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে হয় এবং প্রয়োজনে ইনসুলিন ব্যবহার করতে হয়। পরবর্তী জীবনে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকার মাকে স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো সারা জীবন ধরে রাখতে হবে।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, গর্ভাবস্থায় কোন মায়ের ডায়াবেটিস ধরা পড়লে তার দ্রুত চিকিৎসা করা প্রয়োজন। এ ডায়াবেটিস অনাগত নবজাতকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই বিশ্ববিদ্যালয় ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও প্রতিকারের বিষয়ে একটি গবেষণা চলামান রয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাসনাত, কো-চেয়ারম্যান মা ও প্রসূতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. বেগম নাসরিন, এন্ডোক্রাইনোলোজি বিভাগের প্রতুষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন, মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সোহেল মাহমুদ আরাফাত প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম