ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে যা জানালেন প্রতিমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:২০ পিএম
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সরকার। যেহেতু এখন পূর্ণিমা নেই। বাতাসের গতিবেগ কম, তাই এখানে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা অনেক কম। আমি মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দেব, তারা যাতে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখেন। আশ্রয়কেন্দ্রে যাতে খাবার এবং নিরাপদ খাবার পানি রাখেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের সভা শেষে সাংবাদিকদের ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবিলায় সরকারের নেওয়া প্রস্তুতি সম্পর্কে জানান প্রতিমন্ত্রী।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে পরিণত হয়েছে। এটি আজ দুপুরে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত মাসে ঘূর্ণিঝড় হামুনের সময় বরাদ্দ দেওয়া চাল, শুকনা খাবার, গোখাদ্য, শিশু খাদ্য ও অর্থ বরাদ্দ দিয়েছিলাম। আশা করছি, সে অর্থ মজুত আছে। সেগুলো আপনারা ব্যবহার করবেন, খরচ করবেন। আরও যদি কিছু প্রয়োজন হয়, আমাদের জানালে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা করে দেব।
এনামুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১১টি জেলায় আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। জেলাগুলো হলো—বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট ও চট্টগ্রাম।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম বলেন, জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার, ৩৫টি মুজিব কেল্লা, ৮৭৬০ জন সিপিপি ভলান্টিয়ার, ৭ লাখ ৯০ হাজার নগদ টাকা, ৬৫০ মেট্রিকটন চাল মজুত রয়েছে। জেলায় স্যালাইন, খাওয়ার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পর্যাপ্ত প্রস্তুত রয়েছে। ৮২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।