জাল জালিয়াতির মাধ্যমে শেয়ার আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলার ছয় বছর পর তিনজনের সাজা দিয়েছেন আদালত। রায়ে পৃথক তিন ধারায় সাহিদা বেগম ও এনায়েত হোসেনের আট বছর কারাদণ্ড, ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
তবে সব সাজা একসঙ্গে চলবে বিধায় তাদের তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়া অপর আসামি আব্দুল আলমির দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে তিনজনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আব্দুল কাদের নামের একজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শাহজাহান মজুমদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার ফাহিম আল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বর সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. ইজাজ উদ্দিন আহমেদ চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
মামলার অভিযোগে সিরাজুল ইসলাম চৌরাঙ্গা ব্রিকস অ্যান্ড ডেভেলপারস কোম্পানির ১০০ টাকা মূল্যের চার হাজার শেয়ারের মালিক ছিলেন। ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি মারা যান। উত্তরাধিকার সূত্রে মামলার বাদী ফাহিম আল ইসলাম ৮৭৫টি শেয়ারের মালিক হন। তবে আসামিরা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র সৃজন করে রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে দাখিল করেন। এর মাধ্যমে আসামিরা চার হাজার শেয়ার আত্মসাৎ করে।