নায়ক সোহেল হত্যা: আশিষ চৌধুরীর আপিল বিভাগে জামিন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৩১ পিএম
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এই মামলা ছয় মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় ও সেলিম আশরাফ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
এদিকে নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা ৬ মাসে বিচারকাজ শেষ না হওয়ার ব্যাখ্যায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক বলেছেন, ২৫ বছর আগের মামলা হওয়ায় প্রসিকিউশন সাক্ষী হাজির করতে পারছেন না। এক্ষেত্রে প্রসিকিউশনের ব্যর্থতা রয়েছে।
গত ২৯ অক্টোবর চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরও ৬ মাসে বিচারকাজ শেষ না বিচারককে শোকজ করেন আপিল বিভাগ। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারককে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়। ওই সময় পর্যন্ত এ মামলার আসামি আশিষ রায় চৌধুরীর জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচার আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এই সময় পর্যন্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরীর জামিন স্থগিত করেন আদালত।
তার আগে সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন আসামি আশিষ রায় চৌধুরী। পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে চেম্বার আদালত তা স্থগিত করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ট্রামস ক্লাবের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ওই ঘটনায় তার বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।
১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।
মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকি ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন।