চিংড়ি মহালের ফাঁকা জায়গায় সবুজায়নের নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৬ পিএম
পরিবেশ সুরক্ষায় চিংড়ি মহালের প্রশস্ত ফাঁকা জায়গায় সবুজায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
ভূমিমন্ত্রী বলেছেন, পানি নিষ্কাশনের সময় যেন চিংড়ি মহাল নিকটবর্তী বাঁধের ক্ষতিসাধন না হয়।
আজ বুধবার সকালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় চিংড়িমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে কর্মকর্তাদের এই নির্দেশ দেন ভূমিমন্ত্রী। এ সময় ভূমি সচিব খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে লবণাক্ততা প্রবণ উপকূলীয় এলাকা, চিংড়ি চাষ ইত্যাদি বিবেচনা করে চিংড়ি মহালের প্রশস্ত ফাঁকা স্থানে উপযুক্ত উদ্ভিদ রোপণের জন্য বলেন মন্ত্রী।
ভূমিমন্ত্রী বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার বিষয় বিবেচনায় রেখে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সে অনুযায়ী কাজ করা হয়। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর অনুশাসন রয়েছে।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, সরকারের জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমনের ওপর প্রভাব হ্রাসে গৃহীত কার্যক্রমে অন্যতম সহযোগী মন্ত্রণালয় এটি। কৃষিজমি সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রক্রিয়াধীন আইন, ল্যান্ড জোনিং প্রকল্পসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, কক্সবাজার ও সাতক্ষীরা জেলার মাঠ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং চিংড়ি চাষ ও ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তিসহ বিভিন্ন অংশীজন সভায় উপস্থিত ছিলেন।
একই দিন দুপুরে সরকারি জলমহাল ইজারা প্রদান সংক্রান্ত কমিটির ৭৪তম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন- ভূমি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর, সমবায় অধিদপ্তর এবং মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা। হবিগঞ্জ, রাঙ্গামাটি, মৌলভীবাজার এবং নাটোরের জেলা প্রশাসকরা সভায় নিজ-নিজ জেলা হতে ভার্চুয়ালি সভায় যোগ দেন।