কাতারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৮ পিএম
কাতারের দোহায় একটি গাড়ির গ্যারেজে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৪ বাংলাদেশিসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও অনেকে আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
দোহায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম চার বাংলাদেশির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত বাংলাদেশিরা হলেন- ফেনীর আমির হোসেন ফরহাদ, চাঁদপুরের মো. আব্দুল কাদের ও নোয়াখালীর জাফরুল ইসলাম লিটন। অপরজনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
দাগনভুঞা (ফেনী) : মৃত আমির হোসেন ফরহাদ দাগনভুঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের পসি মিয়া চৌধুরী বাড়ির মৃত আবুল খায়েরের ছেলে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও নিহতের চাচাতো ভাই নজরুল ইসলাম জানান, ফরহাদ ১০ বছর ধরে কাতারে ছিলেন। চাকরির পাশাপাশি দোকান করতেন তিনি। ফরহাদ মা, চার ভাই, স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে রেখে গেছেন। তার এমন মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
সেনবাগ (নোয়াখালী) : জাফরুল ইসলাম লিটন সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাজারামপুর হারিছ আমিনের বাড়ির আবদুস সাত্তার ওরফে জমিদার মিয়ার ছেলে।
তার চাচাতো ভাই মাহফুর রহমান ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার কাজী জহিরুল ইসলাম মাসুদ জানান, ১২ বছর আগে জীবিকার সন্ধানে দোহায় যান তিনি। একটি কোম্পানিতে গাড়িচালক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এক বছর আগে ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। ঘটনার দিন একটি মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপের সামনে এলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয়। লিটন ৩ ভাই ৩ বোনের মধ্যে মেজো ছিলেন।
মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম রিগান বলেন, তার লাশ দেশে আনতে আমরা সহযোগিতা করব।
কচুয়া (চাঁদপুর) : মৃত মো. আব্দুল কাদের (৩৮) কচুয়ার দারাশাহী তুলপাই গ্রামের মো. আলী হোসেনের ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ছুটি শেষে প্রায় ২ বছর আগে তিনি কাতারে পাড়ি জমান। রোববার রাতে তার ফোরম্যানের সঙ্গে দেখা করতে ওই গ্যারেজে গিয়ে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মারা যান তিনি। তার লাশ কাতারে হিমঘরে রয়েছে। লাশ দেশে সরকারি সহযোগিতা চেয়েছে পরিবার। কাদেরের স্ত্রী দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তার মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমেছে।