বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার নিয়ে ইইউর উদ্বেগে একাত্মতা জানাল যুক্তরাষ্ট্র
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:০৯ পিএম
বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার নিয়ে ইইউর উদ্বেগে একাত্মতা জানাল যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও ধরপাকড়ের নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গতকাল রোববার সামাজিকমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) শেয়ার করা এক বার্তায় এই নিন্দা জানান সংস্থাটির পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। এর পর বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসও বোরেলের টুইটের সঙ্গে একমত পোষণ করে।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের পর থেকে দলটির নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে দেশজুড়ে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দলটির শীর্ষ পর্যায়ের বেশিরভাগ নেতা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। অসংখ্য নেতাকর্মী গ্রেফতার এড়াতে বাড়িছাড়া। এ অবস্থায় চলমান ধরপাকড় ও গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েছে ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সংস্থাটির (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল রোববার এক্স-এ দেওয়া পোস্টে এই নিন্দা জানান। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উপায় বের করার আহ্বানও জানান।
পোস্টে বোরেল বলেন, ‘বাংলাদেশে ৮ হাজারের বেশি বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী গ্রেফতারে উদ্বেগ জানাচ্ছি। প্রতিটি মামলায় অবশ্যই ন্যায়বিচার হতে হবে। আমরা সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ উপায় বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার সহায়ক হবে।’
পরে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে বোরেলের টুইট শেয়ার করে লেখা হয়, ‘আমরাও এর সঙ্গে একমত।’
বিএনপির অভিযোগ, পুলিশের অভিযান ও গ্রেফতারের হাত থেকে বাঁচতে দলটির লাখ লাখ নেতাকর্মী এখন বাড়িছাড়া। ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত দলটির সাড়ে ৭ হাজারের বেশি নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
গ্রেফতার নেতাদের মধ্যে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রী, সাবেক বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীরউত্তম), যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের মতো প্রথম সারির নেতারা এখন কারাগারে আছেন।