৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের অনুমোদন
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২৯ পিএম
বাংলাদেশের প্রথম ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন (ইউটিলিটি স্কেলের) বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সামিট গ্রুপের সঙ্গে প্রকল্পটিতে ১.৩ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের অর্থ বিনিয়োগ করবে ডেনমার্ক। প্রকল্পটির জন্য ইতোমধ্যে কক্সবাজার এলাকায় আগামী তিন বছরের জন্য জমি বরাদ্দের বিষয়েও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চলতি বছরের জুলাইয়ে ডেনমার্কের কোপেহেগেন ইনফ্রাস্ট্রাকচার পার্টনারস (সিআইপি) ও কোপেনহেগেন অফশোর পার্টনারস (সিওপি) বাংলাদেশের সামিট গ্রুপে সহযোগিতায় এ বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রস্তাবনাটি দাখিল করে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি কক্সবাজারের সমুদ্রতীর দূরবর্তী স্থানে (অফশোর) স্থাপিত হবে।
৫০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এ অফশোর বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পটি অনশোর সাবস্টেশনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। যা সরাসরি দেশের বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হবে। অফশোর বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাংলাদেশের উপকূলবর্তী সম্পদ ও ‘সুনীল অর্থনীতির’ সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহারের জন্য একটি অনন্য সুযোগ।
ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ) গবেষণালব্ধ অনুমান বলছে, দেশের এ সবুজ রূপান্তরের জন্য বার্ষিক ১.৭ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। সামিট, সিআইপি ও সিওপির শত কোটি ডলারের প্রকল্প প্রস্তাবটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিনিয়োগ খাতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। একই সঙ্গে এটি জলবায়ু সমৃদ্ধিশীল ভবিষ্যতের ক্ষেত্রেও টেকসই ভূমিকা রাখবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এটিই হবে বাংলাদেশে, এমনকি দক্ষিণ এশিয়াতেও প্রথম অফশোর উইন্ড এনার্জি প্রকল্প, যা প্রযুক্তি সক্ষমতা তৈরির মাধ্যমে দেশে নতুন শিল্প খাতের উন্মোচন করবে।
প্রাথমিক নিরীক্ষা অনুযায়ী, প্রকল্পটির নির্মাণকাজের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হাজারো মানুষের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রকল্পটির প্রথম ৩০ বছরের পরিচালনাকালে উচ্চতর দক্ষ পদেও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।