রাজধানীর মহাখালীতে খাজা টাওয়ারে আগুন লাগার ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিটের ৭২ জন সদস্য কাজ করছেন। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, আনসার ও এনএসআইয়ের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছেন।
খাজা টাওয়ার ভবনটি ১৪ তলার। ভবনটির ১১, ১২ ও ১৩ তলা থেকে আগুনের কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ১০ তলা থেকে ওপর পর্যন্ত ভবনের কাচের দেওয়াল ভেঙে আগুন নেভানোর কাজ করছেন।
খাজা টাওয়ারের পেছনের দিকে থাকা আবাসিক ভবনগুলো থেকে কয়েক তরুণ এসে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ভবনটির ভেতরে এখনো কিছু মানুষ আটকে আছেন। তারা খাজা টাওয়ারের পেছনের দিকে গিয়ে বাঁচার আকুতি জানিয়ে হাত নাড়ছেন।
ফায়ার সার্ভিস টিটিএলের সাহায্যে খাজা টাওয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরের বাইরের কাচের আবরণ ও জানালার গ্লাস ভাঙছে। একইসঙ্গে দেখা হচ্ছে কোনো ফ্লোরে আগুন ও মানুষ আছে কি না।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক বলেন, খাজা টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের ১১টি ইউনিট কাজ করছে। ঘটনাস্থলে দুইটি লেডার সংবলিত অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজের গাড়ি (টিটিএল) নেওয়া হয়েছে। টিটিএল দিয়ে টাওয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরের গ্লাস ভাঙা হচ্ছে। গ্লাস ভেঙে দেখা হচ্ছে ভেতরে মানুষ আছে কি না।
আগুনের কারণে গুলশান-মহাখালী সড়কের দুই পাশের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গুলশানগামী যানবাহন মহাখালী অংশে এবং মহাখালীর দিকে যাওয়া যানবাহন তিতুমীর কলেজ অংশে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে উৎসুক মানুষের প্রচণ্ড ভিড়।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, বিকেল ৪টা ৫৮ মিনিটে তারা আগুন লাগার খবর পেয়েছেন। পরে বিকাল ৫টা ৭ মিনিটে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।