মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৪৫ পিএম
![মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/10/19/image-730576-1697697943.jpg)
শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাস এক সেমিনারের আয়োজন করে। এতে বক্তারা শিশু অধিকার ও নিরাপদ শৈশব নিশ্চিতের লক্ষ্যে সব রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্ব দেন। বক্তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান। বিশেষ করে জাতির পিতার কনিষ্ঠ ছেলে ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেলের ওপর সংঘঠিত নির্মমতাকে মানবাধিকার তথা শিশু অধিকার হননের এক জঘন্য নিদর্শন বলে বক্তারা অভিহিত করেন।
সেমিনারে আইএফআরসির মিয়ানমারের প্রধান ডেলিগেট নাদিয়া খৌরি প্রধান বক্তা ছিলেন। দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা আফতাব হোসাইন, ওয়াটার এইড মিয়ানমারের কান্ট্রি ডিরেক্টর শিহাব উদ্দিন আহমদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. সৈয়দা আফসানা আমিন এবং শিশু অধিকার কর্মী প্রবীর রঞ্জন বিজন বিশি আলোচক ছিলেন।
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মিয়ানমারে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধি, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বাংলাদেশ কম্যুনিটির সদস্যরা অংশ নেন।
রাষ্ট্রদূত ড. মনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ও শেখ রাসেল সহ ১৯৭৫ সালের কালরাতে নির্মমভাবে নিহত পরিবারের সব শহিদের, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও সব মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় ছিল শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, শেখ রাসেলের জীবনীর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। অনুষ্ঠানের শেষভাগে শেখ রাসেলসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে নির্মমভাবে শাহাদতবরণকারী সব শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।