পানিতে ডুবে রংপুর, ফরিদপুরের সালথা, নেত্রকোনার মদন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শিশুসহ চারজন মারা গেছেন। এদিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নদীতে নিখোঁজ বৃদ্ধার লাশ দুদিন পর উদ্ধার করা হয়েছে।
যুগান্তর ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
রংপুর মহানগরীতে পুকুর থেকে এক রিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে মহানগরীর ৪নং ওয়ার্ডের খটখটিয়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, রংপুর মহানগরীর ৬নং ওয়ার্ডের বুড়িরহাট এলাকার বাহাদুর সিংহ পশ্চিমপাড়ার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে সিরাজুল ইসলাম বাউরা প্রতিদিনের মতো রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন।
বুধবার সকালে খটখটিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় আলম মিয়ার পুকুরে তার লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। মৃত সিরাজুল ইসলাম মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নদীতে নিখোঁজ বৃদ্ধা আছিয়া বেগমের লাশ দুদিন পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। গত সোমবার সকালে নদী পার হতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। বুধবার সকালে ঘোড়াঘাট-পলাশবাড়ী সড়কের ত্রিমোহনী ব্রিজ এলাকায় করতোয়া নদীর কিনারা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন স্থানীয়রা।
মৃত আছিয়া বেগম গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পশ্চিম মির্জাপুর গ্রামের মৃত খোররাম উদ্দিনের স্ত্রী। দীর্ঘ কয়েক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় একই গ্রামে ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন তিনি।
মৃতের ভাতিজা সিদ্দিকুর রহমান জানান, গত সোমবার সকালে বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর কোমর সমান পানিতে হেঁটে পার হয়ে পাশের টেংরা গ্রামে গিয়েছিলেন আছিয়া বেগম। ওই গ্রামের এক ব্যক্তির কাছে টাকা পেতেন তিনি। সে টাকা আনতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে ফেরার পথে নদী পার হতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তিনি। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহযোগিতায় নদীর বিশাল অংশ জুড়ে সোম ও মঙ্গলবার উদ্ধার অভিযান চালানো হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ফরিদপুরের সালথায় পুকুরপাড় পরিষ্কার করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মো. আতিয়ার মোল্যা নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার চান্দাখোলা গ্রাম এ দুর্ঘটনা ঘটে। আতিয়ার ওই গ্রামের মৃত হারুন মোল্লার ছেলে।
নেত্রকোনার মদনে সাথীদের সঙ্গে খেলা করতে গিয়ে তাসীম (৩) নামে এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। বুধবার উপজেলার বিয়াশি গুচ্ছগ্রামের পূর্ব পাশের হাওড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শিশুটি ওই গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে।
তাসীমের বড় ভাই শামীম জানান, মা ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় তাসীম বাইরে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর তাকে দেখতে না পেয়ে আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। এক পর্যায়ে গুচ্ছগ্রামের পূর্বপাশের হাওড়ে তার লাশ ভাসতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বড় ভাইয়ের সঙ্গে কেল্লা বাবার মাজার জিয়ারত করতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মরিয়ম আক্তার (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে আখাউড়ার খরমপুর শাহ ছৈয়দ আহাম্মদ গেছু দারাজ (র.) প্রকাশ শাহপীর কেল্লা বাবার মাজারের পুকুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শিশুটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর এলাকার মন মিয়ার মেয়ে।
জানা গেছে, দুদিন আগে ছোট্ট মরিয়ম তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে ওই মাজারে যায়। বুধবার দুপুরে হাত-মুখ ধোয়ার কথা বলে পুকুরে যায় সে। দীর্ঘক্ষণ ফিরে না আসায় খুঁজতে গিয়ে পুকুরে তার লাশ ভাসতে দেখে উদ্ধার করা হয়।