বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ: খাদ্যমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫৭ পিএম
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ বছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি। সামনের দিনগুলোতে বিদেশে চাল রপ্তানি করা যায় কিনা আমরা তা খতিয়ে দেখছি।
সোমবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ বছর খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে-‘পানি জীবন, পানিই খাদ্য। কেউ থাকবে না পিছিয়ে।’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জীবনে পানির ব্যবহার সর্বত্র। এ পানির সদ্ব্যবহার করতে হবে। পানি ছাড়া ফসল উৎপাদন হবে না। ফসল না হলে আমরাও বাঁচতে পারব না। অনেকে বলেন, এক কেজি ধান উৎপাদনে চার হাজার লিটার পানি দরকার হয়। কৃষকরা অনেক সময় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পানি সেচকাজে ব্যবহার করেন। জনসচেতনতা বাড়িয়ে পানির অপচয় কমাতে হবে।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ মানুষ সরু ও চকচকে চাল খেতে পছন্দ করে। বারবার ছাঁটাই করায় চালের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এখন লাল চাল খায়। কারণ লাল চালে পুষ্টি বেশি। ভোক্তারা লাল চাল খেলে মিল মালিকরাও ব্যবসায়িক কারণে চকচকে চাল তৈরি করার আগ্রহ হারাবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে জমি কমেছে কিন্তু জনসংখ্যা বেড়েছে। সরকার জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমরা চাল, মাছ, আম ও সবজি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। অনেক ফসল মৌসুমের সময় সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়। প্রক্রিয়াজাত করে আম ও সবজি রপ্তানি করতে পারলে আমাদের কৃষকরা লাভবান হবে।
মন্ত্রী বলেন, বোরো ধানের আবাদ ভালো হয়েছিল। বোরোর মতো আমনের আবাদেও বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। দেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই, তাই আমাদের দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। তবে ব্যবসায়ীদের সচেতন এবং ভোক্তাবান্ধব হতে হবে। দিনাজপুরে যে দামে চাল বিক্রি হয়, সেই চাল ঢাকায় এসে দাম অনেক বেড়ে যায়। এ প্রবণতা ছাড়তে হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি আরনউড হ্যামেলারস এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জালাল আহমেদ।