Logo
Logo
×

জাতীয়

ঘোড়াশাল-পলাশ সার কারখানায় পরীক্ষামূলক সার উৎপাদন শুরু

Icon

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১০:২৫ পিএম

ঘোড়াশাল-পলাশ সার কারখানায় পরীক্ষামূলক সার উৎপাদন শুরু

দেশে ইউরিয়া সারের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নরসিংদীর ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানায় পরীক্ষামূলকভাবে ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় সার কারখানার ইউরিয়া প্লান্টে অ্যামোনিয়া আর কার্বন-ড্রাই-অক্সাইডের বিক্রিয়া করে ইউরিয়া উৎপাদন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সারকারখানা প্রকল্পের পরিচালক রাজিউর রহমান মল্লিক।

প্রকল্পের পরিচালক বলেন, আমরা আজ ৫০% লোডে পরীক্ষামূলকভাবে ইউরিয়া প্লান্ট চালু করে সফলভাবে ইউরিয়া উৎপাদন করতে পেরেছি। এতে প্রতি ঘণ্টায় ১৪০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে। এখন সারের গুণগতমান পরীক্ষার জন্য তা ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল ইউরিয়া সার উৎপাদন করা, তা আমরা সফল করতে পেরেছি। এখন ধীরে ধীরে এটার লোড বাড়িয়ে ইউরিয়া স্যারের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। আর আগামী ৩০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারকারখানাটির আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় সার কারখানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও জাপানি প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের ইউরিয়া সারের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি সুলভ মূল্যে কৃষকদের কাছে সার পৌঁছে দিতে ২০১৮ সালে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু করে শিল্প মন্ত্রনালয়।

করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি গত ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এতে বছরে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়ার সার উৎপাদন সম্ভব হবে।

প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে তুলনামূলক কঠিন শর্তে সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট হিসেবে জাপান ও চীনের ঠিকাদারদের যৌথ কনসোর্টিয়াম ব্যাংক অব টোকিও-মিতসুবিশি ইউএফজে লিমিটেড (এমইউএফজি) ও দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড (এইচএসবিসি) ৮ হাজার ৬১৭ কোটি টাকার ঋণ সংগ্রহ করে দেয়। কমিটমেন্ট ফি, সার্ভিস চার্জ মিলিয়ে এ ঋণের সুদের হার ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। চার বছরের নির্মাণকালসহ মোট ১৫ বছরে কনসোর্টিয়ামকে মোট ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

কারখানাটি দেশের কৃষি উৎপাদন, কৃষি অর্থনীতি, ব্যবসা বাণিজ্য সর্বোপরি দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের অ্যামোনিয়া প্লান্ট, ইউরিয়া প্লান্ট এবং ইউটিলিটি দৃশ্যমান।

এছাড়া পিডিবি হতে পাওয়ার রিসিভিং, ইমাজেন্সি ডিজেল জেনারেটরের লোড টেন্ট সম্পন্ন হয়েছে, কুলিং ওয়াটার সিস্টেমে ওয়াটার ফ্ল্যাশিং ও কেমিক্যাল ক্লিনিং, নাইট্রোজেন ইউনিটের ইন্সট্রুমেন্ট এয়ার কমপ্রেসার এর প্রি-কমিশনিং এবং কমিশনিং শেষ হয়েছে। ইউরিয়া প্লান্টে অ্যামোনিয়া আর কার্বন ড্রাই অক্সাইডের বিক্রিয়া করে পরীক্ষামূলকভাবে ইউরিয়া উৎপাদন করা হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম