অর্থবছরের তিন মাস: অর্জন হয়নি রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৪০ পিএম
চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। তিন মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক হাজার ৩৯৮ কোটি মার্কিন ডলার। আয় হয়েছে এক হাজার ৩৬৮ কোটি ডলার। সেক্ষেত্রে আয় কম হয়েছে ২.১৬ শতাংশ। আর গত বছর একই সময়ে আয় হয়েছে এক হাজার ২৪৯ কোটি ডলার। এতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯.৫১ শতাংশ। সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনা করে এ সব তথ্য জানায়।
পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা যায়, একক মাস হিসাবে সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে গত বছর একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪৬৩ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৪৩১ কোটি ডলার। আয় কম হয়েছে ৭.০৫ শতাংশ। আর গত বছর একই সময়ে আয় হয়েছে ৩৯০ কোটি ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১০.৩৭ শতাংশ।
ইপিবি’র তথ্যমতে, জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক হাজার ১৭৯ কোটি ডলার। আয় হয়েছে এক হাজার ১১৬ কোটি ডলার। আয় কম হয়েছে শূন্য দশমিক ১.৪৯ শতাংশ। এছাড়া গত বছরের একই সময়ে আয় হয়েছে এক হাজার ২৭ কোটি ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৩.০৭ শতাংশ।
একইভাবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩০ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ২৬ কোটি ডলার। আয় কম হয়েছে ১২.১৮ শতাংশ। এছাড়া গত বছরের একই সময়ে আয় হয়েছে ৩২ কোটি ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৮.৪৪ শতাংশ।
এছাড়া উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় এক হাজার ৩৬৬ কোটি ডলার। আয় হয়েছে এক হাজার ৩৩২ কোটি ডলার। আয় কমেছে ২.৫১ শতাংশ। আর গত বছরের একই সময় আয় হয়েছে এক হাজার ২০৮ কোটি ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১০.২২ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৫ কোটি ডলার। আয় কম হয়েছে ৪৮.১৪ শতাংশ।
পাশাপাশি কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২১ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ২৫ কোটি ডলার। আয় বেশি হয়েছে ২২.১৩ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৩ কোটি ডলার। আয় হয় ২২ কোটি ডলার। আয় ৩.৫৮ শতাংশ কম হয়েছে ও প্রবৃদ্ধি কম হয়েছে ৯.৬৭ শতাংশ।