সেমিনারে বক্তারা
পর্যটনের বিকাশে গণমাধ্যমকে স্টেক হোল্ডার করার আহ্বান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:০৪ এএম
আকর্ষণ ছাড়া পর্যটন হয় না। এই আকর্ষণ প্রচারের জন্য মিডিয়া সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। তাই বাংলাদেশের পর্যটনের প্রচার ও বিকাশে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যটনের কর্মপরিকল্পনায় গণমাধ্যমকে স্টেক হোল্ডার হিসেবে বিবেচনা করে করার আহবান জানিয়ে বক্তারা।
পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদেরও পর্যটন বিকাশে যথাযথ অংশীদারত্বের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই সেক্টরে নীতি নির্ধারক এবং ব্যবসায়ীদের একটি সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা করার পরামর্শ দিয়েছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে গণমাধ্যম কর্মীদের ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে আহবান করেন পর্যটন প্রতিমন্ত্রী।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের অ্যাভিয়েশন অ্যন্ড টুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এটিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও বাংলাদেশের পর্যটন এবং এভিয়েশন খাতের বিকাশে সাংবাদিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তেমন কোন উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মিডিয়ার গঠনমূলক ভূমিকা ছাড়া কোন দেশের পর্যটন বিকাশসম্ভব নয়। এর জন্য সরকারি এবং বেসরকারি উভয় পর্যায়ে থেকে গণমাধ্যমকে পর্যটনের স্টেক হোল্ডার হিসেবে মুল্যায়ন করতে হবে।
সেমিনারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, আমাদের মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা আছে। আমাদের এখন দরকার বিদেশ পর্যটক আকর্ষক করা। আমাদের নতুন নতুন হোটেল হচ্ছে। এজন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ট্যাক্স মওকুফ সুবিধা দরকার। ভিসার ক্ষেত্রে আমাদের উদার হওয়ার দরকার। রাষ্ট্রের স্বার্থে নেগেটিভ বিষয়গুলো গণমাধ্যমে সচেতন হতে হবে। যেন দেশ ভুক্তভোগী না হয়। মাস্টারপ্ল্যান প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, এবার বিশ্ব পর্যটন দিবসে আমরা দেশব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। পর্যটন এমন একটি বিষয়ে যা প্রচার করতে হয়, আর এজন্য মিডিয়ার ভূমিকা প্রয়োজন। আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মিডিয়ার সাথে গ্যাপ কমিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি।
পর্যটন সচিব বলেন, আমরা সেন্ট মার্টিনকে প্লাস্টিক ফ্রি করবো। এজন্য মিডিয়া ভূমিকা প্রয়োজন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, আমাদের পর্যটনের অনেক উপদান আছে। সরকারের নানা উদ্যোগ আছে, মিডিয়াও এগিয়ে আসছে। আমাদের আশে পাশের দেশ পর্যটনে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের ট্যুরিজম সেক্টর সেরকম প্রমোট হয়নি। আমাদের আরও করণীয় আছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, মালদ্বীপের কোন কর্মকর্তা যখন অন্য দেশে যান তাদের একটা এজেন্ডা থাকবেই, সেটা হলো ট্যুরিজম। আমাদেরও এভাবেই এগিয়ে আসতে হবে।
প্যাসেফিক এশিয়া ট্রাভেল এসোসিয়েশনের (পাটা) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব তৌফিক রহমান বলেন, বাংলাদেশ বিদেশি মেলায় অংশ নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে।অথচ নেপাল, শ্রীলংকার মতো দেশ আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নিচ্ছে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) প্রেসিডেন্ট শিবলুল আজম কোরায়েশি বলেন, বিদেশি টুরিস্টদের সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। গত বছর ৫ লাখের মতো বিদেশিরা বাংলাদেশে এসেছে তার মধ্যে ২০ হাজারের বেশি পর্যটক নেই। বিদেশে দেশের পর্যটন নিয়ে মার্কেটিং করা হয়না। আশপাশের দেশ নেপাল,মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার ও আফগানিস্তানের টুরিস্টদের অবস্থা ভালো। দেশে উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু আমাদের টুরিজম নিয়ে প্রচারণা নেই।