Logo
Logo
×

জাতীয়

এমপি আবদুস সাত্তারের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৪ এএম

এমপি আবদুস সাত্তারের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক

সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

শনিবার এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপ্রধান মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ২ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার একমাত্র ছেলে মাইনুল হাসান তুষার তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বাবা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। 

আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি পদে ছিলেন।

উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ১৯৭৯ সালে প্রথম তৎকালীন কুমিল্লা-১ (নাসিরনগর ও সরাইলের একাংশ) বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে ১৯৯১ সালে, ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনসহ দুটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘ ২৭ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। সবশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হন।

উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ১৯৭৯ সালে প্রথম তৎকালীন কুমিল্লা-১ (নাসিরনগর ও সরাইলের একাংশ) বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে ১৯৯১ সালে, ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনসহ দুটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তবে ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে দলের মনোনয়ন না দিয়ে চারদলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও ইসলামি ঐক্যজোটের তৎকালীন মহাসচিব মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে আবদুস সাত্তার ভূঞাকে টেকনোক্রেট কোটায় প্রতিমন্ত্রী করা হয়। তিনি দীর্ঘ ২৭ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। সবশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হন।

আরও পড়ুন: ১৭ মিনিটের ব্যবধানে চলে গেলেন দুই এমপি

পরে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিএনপির আন্দোলনের অংশ হিসেবে দলটির সাতজন সংসদ সদস্য দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদত্যাগ করেন। তার মধ্যে উকিল আবদুস সাত্তারও ছিলেন। পরে তিনি একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। এতে দল থেকে আবদুস সাত্তারকে বহিষ্কার করে বিএনপি। ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আবদুস সাত্তার ৪৪ হাজার ৯১৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম