যেসব দেশের গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৩৭ এএম
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্র গত বছর তিন দেশের গণমাধ্যমকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ব্ল্যাকমেইল, বল প্রয়োগ, প্রোপাগান্ডা ছড়ানো ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশসহ তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে সাজলেন বৌদ্ধ ভিক্ষু, অতঃপর…
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে— এমন কথা বলে ক্ষমতাসীন, বিরোধী দল আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও দেওয়া হচ্ছে ভিসা নিষেধাজ্ঞা।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছিলেন, গণমাধ্যমের ওপরও আসতে পারে এই খড়গ। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর পরে জানিয়েছে যে, গণমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না।
যাই হোক, মুক্ত মতপ্রকাশের যুগে গণমাধ্যমে আদৌ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায় কিনা, এ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ঠিক কোন অভিযোগে কিংবা কোন মতপ্রকাশ করলে তা পড়বে নিষেধাজ্ঞার আওতায় তা নিয়েও চলছে আলোচনা।
গণমাধ্যমের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার নজির রয়েছে। ২০২২ সালে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিংয়ের (আইআরআইবি) ৬ কর্মকর্তা আর সাংবাদিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন।
অভিযোগ, মাহসা আমিনির মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভে নিহতদের পরিবারকে হয়রানি এবং মৃত্যুর কারণ লুকানোর চেষ্টা করেছিল ওই গণমাধ্যম। জব্দ করা হয় ওই ৬ কর্মকর্তার বিদেশে থাকা সম্পদ। নিষিদ্ধ করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ, বিনিয়োগ কিংবা ব্যবসা।
সরকারের পক্ষে প্রোপাগান্ডার অভিযোগ তুলে সেই বছর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় ইরানের সংবাদমাধ্যম ফার্স ও তাসনিম নিউজ এজেন্সিকেও।
২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর মস্কোর শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় বাইডেন সরকার। যার মধ্যে ছিল ক্রেমলিনভিত্তিক গণমাধ্যম চ্যানেল ওয়ান, রাশিয়া ওয়ান ও এনটিভি।
এসব চ্যানেলে প্রতি বছর প্রায় ৩০ কোটি ডলারের বিজ্ঞাপন দিত যুক্তরাষ্ট্র। পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
একই বছর আলবেনিয়ার টিভি চ্যানেল ওরা নিউজ, আরটিভি ও চ্যানেল ওয়ানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ভুয়া সংবাদ প্রচারের ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।