Logo
Logo
×

জাতীয়

মূল্যস্ফীতির অসহনীয় ঊর্ধ্বগতিতে বিশিষ্ট ২৪ নাগরিকের উদ্বেগ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২০ পিএম

মূল্যস্ফীতির অসহনীয় ঊর্ধ্বগতিতে বিশিষ্ট ২৪ নাগরিকের উদ্বেগ

দেশে মূল্যস্ফীতির হার অসহনীয়ভাবে বেড়ে যাওয়ায় দেশের ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দেশে খাদ্যপণ্যসহ সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের পক্ষে জীবনধারণ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন। 

সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় এক বছর ধরে খাদ্যপণ্যসহ সার্বিক মূল্যস্ফীতি অসহনীয় পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। 

সরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিএসএসের তথ্য অনুযায়ী-আগস্টে খাদ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। 

এ পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের পক্ষে জীবনধারণ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ডিম ও মাংসের দাম বাড়ায় আমিষ জাতীয় খাদ্যাভাব পুষ্টির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী এবং ব্যবসায়ীদের মতে ডলার সংকটে সমস্যা ঘনীভূত হয়েছে। যুদ্ধের কারণে বহু দেশে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল এবং অধিকাংশ দেশ মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ মূল্যস্ফীতি কমাতে সক্ষম হয়নি। 
বস্তুতপক্ষে উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। অভিযোগ- উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা বাজারে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে এবং তারা বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, এমনকি গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নেও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সমর্থ হচ্ছে না। 

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, এ পরিস্থিতি কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়। আমরা একান্তভাবে প্রত্যাশা করি- সরকার প্রয়োজনে সামাজিক শক্তির সহায়তায় এ দুর্বিষহ পরিস্থিতি উত্তরণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিশেষ করে ডিম, আলু পেঁয়াজ, ডাল, মাংসসহ পণ্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনবে সরকার। জনদুর্ভোগ নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। 

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য রামেন্দু মজুমদার, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমএম আকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জোবায়দা নাসরিন, গবেষক ও সংস্কৃতি কর্মী ড. সেলু বাসিত, অর্থনীতিবিদ ড. আর এম দেবনাথ, রাজনীতিবিদ অসিত বরণ রায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, সংস্কৃতিকর্মী একে আজাদ, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পারভেজ হাসেম, খেলাঘরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, সমাজকর্মী জাহাঙ্গীর আলম সবুজ, সংস্কৃতিকর্মী অলক দাশগুপ্ত, জাতীয় শ্রমিক জোটের কার্যকরী সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশের (ইনসাব) সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) সাধারণ সম্পাদক গৌতম শীল।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম