Logo
Logo
×

জাতীয়

চার এয়ারলাইন্সের কাছে বেবিচকের পাওনা ১২২৩ কোটি টাকা

Icon

সংসদ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১৫ পিএম

চার এয়ারলাইন্সের কাছে বেবিচকের পাওনা ১২২৩ কোটি টাকা

দেশের চারটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পাওনা প্রায় ১২২৩ কোটি টাকা।  চারটি এয়ারলাইন্সের মধ্যে বর্তমান বন্ধ তিনটি। বন্ধ তিনটির কাছে পাওনা ১১৯২ কোটি টাকারও বেশি। 

বেবিচকের প্রতিবেদনে বলা হয়, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, নভো এয়ার, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও জিএমজি এয়ারলাইন্সের কাছে মোট ১২২২ কোটি ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা পাওনা আছে বেবিচকের। 

গত মে পর্যন্ত হিসাবে ইউএস বাংলা ও এয়ার অ্যাস্ট্রার কাছে কোনো পাওনা নেই। এই সংস্থাগুলোর মধ্যে নভো এয়ার, ইউএস বাংলা ও এয়ার অ্যাস্ট্রা বর্তমানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। 

এর আগে দেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোর কাছে বেবিচক কত টাকা পায়, তা জানতে চায় বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দেয় বেবিচক।

এ কমিটিতে বেবিচকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচকের পাওনা আছে ৪০৮ কোটি সাত লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি। জিএমজি এয়ারলাইন্সের কাছে পাওনা  ৩৯৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার বেশি। 

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচক পাবে ৩৮৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বেশি। আর নভো এয়ারের কাছে পাওনা আছে ২৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার মতো। কমিটি বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোর কাছে পাওনা টাকা আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। 

কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন, আশেক উল্লাহ, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, কানিজ ফাতেমা আহমেদ অংশ নেন।

এদিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সংস্কার কার্যক্রম তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। এতে দাবি করা হয়, সংস্কার কাজে বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন ছিল না। সরকারি অর্থ অপ্রয়োজনে নির্দিষ্ট কিছু লোকের সুবিধার জন্য ব্যয় করা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২৬ বর্গমিটারের রুম বাড়িয়ে ৪০ বর্গমিটার করা হয়েছে। এতে ২৭২টি রুমের মধ্যে ৪৬টি কমে বর্তমানে রুমের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৬টিতে। এটি দরকার ছিল না বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।


 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম