Logo
Logo
×

জাতীয়

এডিসি হারুন-সানজিদাকে তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:২৯ পিএম

এডিসি হারুন-সানজিদাকে তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদ

ছাত্রলীগের নেতাদের পেটানোর ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হাওয়া এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হতে পারে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। 

ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আরও পাঁচ দিন সময় চেয়ে আবেদন করেছে তদন্ত কমিটি। এ আবেদনের পর আরও পাঁচ কর্ম দিবস সময় বাড়ানো হয়েছে।

পুলিশের গঠন করা তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ডিএমপি সদর দপ্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) আবু ইউসুফকে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।

ইতোমধ্যে কমিটি এডিসি হারুন-অর-রশীদ, এডিসি সানজিদা আফরিন, পরিদর্শক মো. গোলাম মোস্তফা, ঘটনার মূল ভুক্তভোগী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম, আরেক আহত ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমসহ অন্তত ১০ জনের বক্তব্য নিয়েছে।

এডিসি সানজিদা আফরিনের স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক খান মামুনকে চিঠি দিয়ে বক্তব্য নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত বারডেম হাসপাতালের ইটিটি বিভাগে, সেখানকার আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ছাত্রলীগের দুই নেতাকে যখন থানায় নিয়ে আসা হয় তখন কারা কারা শাহবাগ থানার পরিদর্শকের (তদন্ত) রুমে ঢুকেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে কারা কারা জড়িত সেসব বিষয়ক খতিয়ে দেখছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। সব জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে গুরুত্ব সহকারে।

ডিএমপির তিন সদস্যের একটি দল ঘটনার সূত্রপাত, পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ এবং সেখানে উপস্থিত প্রত্যেকের ভূমিকা নিরূপণে কাজ করছে। 

পুলিশ সূত্র জানায়, এ কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে দুদিনের সময় দিয়েছিলেন ডিএমপি কমিশনার। কিন্তু তদন্তের পরিধি বিস্তৃত হওয়ায় তারা আরও পাঁচ দিন সময় পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির ডিসি মো. ফারুক হোসেন। 

এদিকে শাহবাগ থানায় ওসির (তদন্ত) কক্ষে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের ঘটনায় পুলিশের একশ্রেণির কর্মকর্তার মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। একটি পক্ষ মনে করছে, সেই রাতে ঘটনা যা ঘটেছে, তার চেয়ে বাড়িয়ে বলা হচ্ছে। পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এমনটি করা হচ্ছে। 

অন্য একটি পক্ষের বক্তব্য, এডিসি হারুন-অর-রশীদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ানোর ঘটনা নতুন নয়। আগের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের ঘটনায় তাকে জবাবদিহির আওতায় না আনায় তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বাহিনীর সুনাম বাড়বে।

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, হারুনের বিষয়ে আমাদের তাৎক্ষণিকভাবে যেটা করার, সেটা করেছি। এখন তার বিরুদ্ধে মামলা হবে, তদন্ত হবে। সবগুলোই-তো একটা প্রক্রিয়া। তাৎক্ষণিকভাবে যেটা দরকার ছিল আমরা তাকে সাসপেন্ড করেছি। এখন তদন্ত শুরু হয়ে তার নামে যদি মামলা হয়ে থাকে, সে মামলাগুলোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। 

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার জানামতে যিনি ভিকটিম হয়েছেন তিনি এখনো মামলা করেননি। মামলা করলে তদন্ত শুরু হবে। আর যেহেতু ঘটনা একটা ঘটেছে এটার বিভাগীয় মামলা-তো হবেই। সেখানে যা সিদ্ধান্ত হয় সেটা হবে। 


 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম