তারেক রহমানকে ফেরাতে বন্দিবিনিময়ে ঢাকা-লন্ডন আলাপ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৪ পিএম
ফাইল ছবি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তির বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য পঞ্চম কৌশলগত সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তারেক রহমান রাজনৈতিক আশ্রয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থা করছেন। আইনানুগভাবে দুই দেশের মধ্যে বন্দিবিনিময় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এছাড়াও আগামী সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাজ্য। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে যুক্তরাজ্যকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেছে যুক্তরাজ্য, প্রয়োজনে এ কাজে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।
সংলাপে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। আর লন্ডনের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন। এর আগে সংলাপে যোগ দিতে সোমবারে ঢাকায় পৌঁছান ফিলিপ বার্টান।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা অসংখ্য মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত চারটিতে তার সাজা হয়েছে। এর মধ্যে অর্থ পাচারের একটি মামলায় ২০১৩ সালে বিচারিক আদালতের রায়ে তিনি খালাস পেলেও পরে উচ্চ আদালত তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। ২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারও সাজা হয়। তারেককে দেওয়া হয় ১০ বছরের কারাদণ্ড।
একই বছরের অক্টোবরে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার কয়েকটি ধারায় তারেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিস্ফোরক আইনের আরেকটি ধারায় তার ২০ বছর কারাদণ্ডাদেশ হয়।
সবশেষ গত ২ আগস্ট জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই মামলায় তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। সরকার অনেক দিন ধরেই তাকে দেশে ফিরিয়ে সাজা কার্যকরের চেষ্টা করছে।