এডিসি হারুনকে নিয়ে যা বললেন ডিবিপ্রধান হারুন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:০৬ পিএম
ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে বেধড়ক মারধর করার বিষয়টি প্রমাণিত হলে ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দাপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান এ কথা বলেন।
একজন সাংবাদিক ডিবিপ্রধানকে প্রশ্ন করেন, ডিএমপির রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ দুজন ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় নিয়ে পিটিয়েছেন। বেধড়ক মারপিট করেছেন। তারা গুরুতর আহত হন। এ বিষয়ে ডিএমপি কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা?
জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানেন। এটি তদন্ত করা হবে, তদন্তে এডিসি দোষী হলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
রোববার সকালে যুগান্তরকে তিনি বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। ছাত্রলীগের ছেলেদের সঙ্গে এডিসি হারুনের গণ্ডগোল হয়েছে। অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: থানায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ২ নেতাকে নির্যাতন, যা বললেন ডিএমপি কমিশনার
এর আগে শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।
আহতরা হলেন— ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।
ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে বেদমভাবে পিটিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দেওয়ার পরেও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ জন পুলিশ সদস্য মিলে তাদেরকে পেটান। এরমধ্যে নাঈমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মুখমণ্ডল মারত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত বর্ণনায় ছাত্রলীগ নেতারা জানান, পুলিশের ৩১ ব্যাচের ক্যাডার এডিসি হারুন শনিবার রাতে ৩৩ ব্যাচের আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন ক্যাডার কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেটি হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এরই জেরে পুলিশ ডেকে এনে তাদেরকে থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে।