Logo
Logo
×

জাতীয়

সোনা চুরি: কাস্টমসের কেউ জড়িত থাকলেও ছাড় দেওয়া হবে না

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৪১ পিএম

সোনা চুরি: কাস্টমসের কেউ জড়িত থাকলেও ছাড় দেওয়া হবে না

রাজধানীন শাহজালার বিমানবন্দরে কাস্টমের ভল্ট থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় কাস্টমস হাউসের কেউ জড়িত থাকলেও ছাড় দেওয়া হবে না। চুরির ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণসহ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্ত চলছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, চাঞ্চল্যকর এ চুরির ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গুদামের সামনের ও আশপাশের একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুংঙ্খানুঙ্খভাবে তদন্ত চলছে।

সোমবার দুপুরে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

আর ঢাকা কাস্টমস হাউসের ডিসি সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন জানান, ভল্ট থেকে সোনা চুরির ঘটনায় কাস্টমস হাউসের কেউ জড়িত থাকলেও ছাড় দেওয়া হবে না।

পুলিশের ডিসি মোর্শেদ আলম জানান, কাস্টমস হাউসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণসহ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত চলছে।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চার জনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এর আগে কাস্টম হাউজের ভল্ট থেকে সোনা চুরির ঘটনায় রোববার দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলায় ৫৫ দশমিক ৫১ কেজি সোনা চুরির কথা বলা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মামলার আসামি অজ্ঞাত। এজাহারে কোনো সংখ্যা উল্লেখ করা নেই। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মামলাটির তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে।

বিষয়টি তদন্তের জন্য একজন যুগ্ম কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে ৩১ জুলাই আরেক ঘটনায় বিমানবন্দরের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড রুমেই ঢুকে পড়ে চোর। তবে ছাদ বেয়ে উঠে ভেন্টিলেটরের ফাঁক দিয়ে ঢুকে পড়লেও বের হতে পারেনি। কয়েক ঘণ্টা ভেতরে আটকে থাকার পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় চোর। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রোববার বিকালে ঢাকা কাস্টম হাউজের কমিশনার নূরুল হুদা আজাদ যুগান্তরকে বলেন, তিন বছরে (২০২০ থেকে ২০২৩ সাল) গুদামে জমাকৃত স্বর্ণ ইনভেন্ট্রি (জিনিসপত্রের তালিকা) করে ৫৫ কেজির মতো স্বর্ণের হিসাব পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন একটি চক্র এ কাজ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হঠাৎ কেন ইনভেন্ট্রি করা হলো-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের বদলি কাস্টমসের নিয়মিত প্রক্রিয়া। সম্প্রতি গুদামের দায়িত্বপ্রাপ্তদের বদলির পরও চাবি বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন না সংশ্লিষ্টরা। তখন সন্দেহ হয়। এ কারণে ইনভেন্ট্রি করার পর বিষয়টি জানা গেছে।

রোববার রাত সাড়ে ১০টায় কাস্টমস কমিশনার বলেন, আমরা যাদের চিহ্নিত করেছি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা এখনো চিহ্নিত হয়নি তাদের শনাক্ত করতে যুগ্ম কমিশনার মিনহাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। 

তিনি বলেন, চুরির ঘটনায় প্রাথমিকভাবে যাদের শনাক্ত করেছি তাদের মধ্যে সহকারী রাজস্ব পদমর্যাদার চার কর্মকর্তা আছেন। এছাড়া সিপাহী পদমর্যাদার কয়েকজন আছে। জড়িতদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবার নাম এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে চার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হলেন-শহিদ, শাহেদ, আকরাম ও মাসুম।  
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম