রেজাউল ও মঞ্জুর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ: হাইকোর্টের রায়
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৪৩ পিএম
বর্তমান ও সাবেক দুই মন্ত্রীর নির্বাচন আসনের সীমানা পুননির্ধারণের বৈধতা নিয়ে জারি করার রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেছেন, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী সীমানা পুনঃনির্ধারণ করেছেন। এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রায় দেন।
নির্বাচনি এলাকা দুটি হচ্ছে-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্বাচনি আসন পিরোজপুর-১ ও সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নির্বাচনি এলাকা পিরোজপুর-২ আসন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন মিয়াজী।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কামাল খান দাউদ। আজকে শুধু এই রায় ঘোষণার জন্য হাইকোর্টের এই বিশেষ বেঞ্চ বসানো হয়।
এর আগে গত ৩০ জুলাই এই দুজনের নির্বাচনি আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের ২ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, পিরোজপুর-১ ও পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন পিরোজপুরের কাউখালীর বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়া, ভান্ডারিয়া পৌরসভার বাসিন্দা মো. কায়কোবাদ, মো. আহসানুল কিবরিয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান, নেছারাবাদ উপজেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম শরীফ।
গত ৩ জুন প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পিরোজপুর-১ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে পিরোজপুর-২ আসনে থাকা ইন্দুরকানি উপজেলা। আর পিরোজপুর-১ আসন থেকে কেটে নেছারাবাদ উপজেলাকে যুক্ত করা হয়েছে পিরোজপুর-২ আসনের সঙ্গে। ফলে এখন পিরোজপুর-১ আসনের সীমানায় থাকছে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানি উপজেলা।
অন্যদিকে পিরোজপুর-২ আসনে থাকছে কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও নেছারাবাদ উপজেলা। ইন্দুরকানি উপজেলা বাদ দিয়ে এখানে নেছারাবাদকে যুক্ত করায় নাখোশ এ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি মহাজোটের সঙ্গে আছেন।