অনলাইন থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য সরানো শুরু
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০৩:২৭ পিএম
হাইকোর্টের নির্দেশের পর অনলাইন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সরানোর কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ তথ্য জানানো হয়।
আদালতকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিটিআরসির আইনজীবী ব্যারিস্টার খোন্দকার রেজা-ই রাকিব। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট সোমবার তারেক রহমানের বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা গতকালই ল’ইয়ার সার্টিফিকেট পেয়েছি। বিটিআরসির একটি টিম তারেক রহমানের বক্তব্য অনলাইন থেকে অপসারণের কাজ শুরু করেছে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে তারেকের সব বক্তব্য অনলাইন থেকে অপসারণ সম্ভব হবে। আমরা হাইকোর্টের আদেশের সার্টিফায়েড কপির জন্য অপেক্ষা করছি।
সোমবার সকালে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানের বক্তব্য সরানোর নির্দেশ দেন।
এ সময় কোর্টে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বিচারপতিরা এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। বিচারপতিরা চলে যাওয়ার সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ‘শেইম শেইম’ বলে চিৎকার করতে থাকেন।
এর আগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলে সম্পূরক আবেদনের শুনানি হয়।
আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সানজিদা খানম, অ্যাডভোকেট নাসরিন সিদ্দিকা লিনা এ আবেদন করেছেন। শুনানি শেষে তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেওয়া সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ২২ আগস্ট গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুল জারি করেন। রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
ওই রুল শুনানির জন্য আট বছর পর হাইকোর্টে আবেদন জানায় রিটকারী পক্ষ। কিন্তু তারেক রহমানের ঠিকানা ভুল থাকায় নোটিশ সঠিকভাবে জারি হয়নি। এ কারণে ঠিকানা সংশোধন করে ফের আবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।