‘বিচারকের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেওয়ার তারা কে’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ১০:৪৯ পিএম
মামলায় পক্ষভুক্ত না হয়েও তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রিটে বিচারকের বিরুদ্ধে কিভাবে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা অনাস্থা দেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য সরাতে আদেশের পর সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই রিটকারীর আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম এ মন্তব্য করেন।
এর আগে সকালে আইনের দৃষ্টিতে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য ইউটিউব, ফেসবুকসহ সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে অবিলম্বে ব্লক, অপসারণ বা সরিয়ে ফেলার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটি-বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ আদেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির আইনজীবীরা হট্টগোল করলে বিচারকরা এজলাস ছেড়ে চলে যান।
পরে রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তারা অযাচিতভাবে কোর্টের কার্যকলাপকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন। তারা কোনোভাবে পার্টি নন (মামলায় পক্ষভুক্ত না)। তারা আজ ন্যক্কারজনক কাজ করেছেন। সেদিন তারা পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য একটি দরখাস্ত দিয়েছিল, সেটা খারিজ করা হয়েছে।
বিএনপির আইনজীবীদের উদ্দেশে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘তারা এ মামলায় কীভাবে কথা বলে? তারা কেন অহেতুক ডিস্টার্ব করে? খামোখা তারা আদালতের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন। আজ তারা আদালতে ন্যক্কারজনক কাজ করেছে, কজলিস্ট ছুড়ে মেরেছে। তারা এত উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছে, যে কারণে আদালত নেমে গেছে। কোনো অবস্থাতেই এটা শোভন না। এটা সম্পূর্ণ আদালত অবমাননার শামিল। তারা সমস্তক্ষেত্রে অচলবস্থার সৃষ্টি করতে চায়। তারা তো এই মামলায় পার্টিই না। তাদের অথরিটি নেই। তারা প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থা দেওয়ার কে? কোন যুক্তিতে, কী হিসেবে? তারা অহেতুক যুক্তি দাঁড় করিয়েছে।’