জনগণ সঙ্গে না থাকলে কোনো আন্দোলনই সফল হয় না: কৃষিমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ১০:৫৮ পিএম
ছবি-যুগান্তর
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জনগণ সঙ্গে না থাকলে কোনো আন্দোলনই সফল হয় না। বিএনপি নানারকম আন্দোলন ও কর্মসূচি করে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে দেশের জনগণ নেই। সেজন্য বিএনপির কোনো আন্দোলন কখনো সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। তাদের আন্দোলনে সরকারের পতন হবে না।
রোববার বিকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশের উন্নয়নে আজকে সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখে। দেশের উন্নয়ন আজ সারা পৃথিবীতে নন্দিত ও প্রশংসিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এমডিজির সব লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অর্জন করেছিলাম। বর্তমানে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছি। উন্নয়নের এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। সেজন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের কৃষি উৎপাদনের সাফল্যও আজ বিশ্বের বিস্ময়। বিগত ১৫ বছরে চালের উৎপাদন বেড়েছে ১ কোটি টন, ভুট্টার উৎপাদন ৫৫ লাখ টন, আলুর উৎপাদন ৫৫ লাখ টন, আর সবজির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ২ কোটি টন। উৎপাদনের এই সাফল্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ। উন্নয়নশীল দেশগুলো এটিকে অনুসরণ করতে চায়।
কৃষি উৎপাদনের এই সাফল্যকে আরও এগিয়ে নিতে সব কৃষিবিদকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান, কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর বক্তব্য রাখেন।
কবি নির্মলেন্দু গুণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এএসএম মাকসুদ কামাল, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি হামিদুর রহমান এবং বরেণ্য কৃষিবিদরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।