বিচারপতির বক্তব্য বিকৃত করে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৩, ১০:০২ পিএম
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেছেন, জিয়াউর রহমান ও পাকিস্তানের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত ব্যক্তিরা একজন বিচারপতির বক্তব্য বিকৃত করে আইনাঙ্গনে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ১৫ আগস্ট শোকসভায় একজন বিচারপতি বাংলাদেশের সংবিধানকে ব্যাখ্যা করেন। এটা আমরা সবাই জানি সংবিধান হচ্ছে প্রতিটি দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক দলিল। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে আমরা সংবিধান পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি সংবিধানে লিপিবদ্ধ হয়েছে। দেশ কীভাবে পরিচালিত হবে তা সংবিধানে আছে। আমাদের বিচারপতি বলেছিলেন, একজন বিচারক শপথ নেন সংবিধানকে সংরক্ষণ করার জন্য। আইনকে প্রটেক্ট করার জন্য। আমরা বিচারক হিসাবে শপথ নিই। সংবিধান রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। সে হিসাবে আমরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ।
তিনি বলেন, সামরিক শাসনের মাধ্যমে যখন সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছিল সেই সংবিধানকে রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট ফিরিয়ে এনেছে। এটা আমরা সবাই জানি। এই সাংবিধানিক দায়িত্ব বিচারপতিরা পালন করেছেন।
প্রধান এ আইন কর্মকর্তা বলেন, জিয়াউর রহমান ও পাকিস্তানের ভাবধারায় যারা অনুপ্রাণিত তারা বিচারপতির বক্তব্য বিকৃত করে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ওরা কিন্তু বসে নেই। এ কারণে আমি অনুরোধ করব স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে যারা তাদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন করা হবে বলে আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন। আশা করছি এ কমিশন গঠন হলে বঙ্গবন্ধু হত্যার রহস্য উন্মোচন হবে।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বাদল, ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বাদল, লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন, ল. রিফর্ম কমিটির চেয়ারম্যান মো. একরামুল হক, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান এএফ মো. রুহুল আনাম চৌধুরী, কমপ্লেইন ও ভিজিলেন্স কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা, বার কাউন্সিলের সচিব ডক্টর ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার, উপসচিব আফজালুর রহমান প্রমুখ।