আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো বিকল্প নেই: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৪৪ পিএম
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো বিকল্প নেই। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর, নিরাপদ, সুখী-সমৃদ্ধ, সোনার বাংলাদেশ গঠনে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) ভবন প্রাঙ্গণে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত তিন দিনব্যাপী (১৮-২০ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক পুস্তক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতির স্বার্থে সরকারকে নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অন্যথায় জাতির ভাগ্যাকাশে অমানিশার অন্ধকার নেমে আসবে।
প্রধান অতিথি বলেন, যার নেতৃত্বে ৭৫-এর ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল, সেই খুনি জিয়ার পক্ষে রাজপথে স্লোগান দেয়া হয়; যা এ জাতির জন্য অত্যন্ত দুভার্গ্যজনক।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী স্মৃতিচারণে বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আমার কী অনুভূতি হয়েছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা আমার জন্য বেশ কঠিন। বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না, জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে।
কেএম খালিদ বলেন, তখন বেতারে এ সংবাদ শোনার পর বারবার মনে মনে ভেবেছিলাম, এটা যেন সত্য না হয়। নির্মম, নিষ্ঠুর সত্যকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না।
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।
সংস্কৃতি সচিব বলেন, জাতির পিতার জীবনাদর্শকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক পুস্তক প্রদর্শনী আয়োজন অত্যন্ত সময়োপযোগী উদ্যোগ। সেজন্য গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত এ পুস্তক প্রদর্শনীতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নয়টি দপ্তর-সংস্থা অংশ নিয়েছে। দপ্তর-সংস্থাগুলো হলো- গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস।