Logo
Logo
×

জাতীয়

ঢাকায় ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু, বছরে ২ হাজার শিক্ষার্থী যাবে জাপান

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:২২ এএম

ঢাকায় ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু, বছরে ২ হাজার শিক্ষার্থী যাবে জাপান

ছবি: যুগান্তর

ঢাকায় চালু হয়েছে জাপানিজ ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র জাপান-বাংলাদেশএডুকেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (জেবিইএসডি)। এ প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বছরে দুই হাজার শিক্ষার্থীকে ভাষা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযোগী করে জাপান পাঠানোর আশা ব্যক্ত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মিয়া মামুন। 

প্রতিষ্ঠানটিতে নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে জাপানিজ ভাষার কোর্স করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। 

শনিবার রাজধানীর খিলক্ষেতে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড একচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত উল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাপানিজ বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান কামেদা শিকা কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ডক্টর লেখ রাজ জুনিজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্ট্যাডিজের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর লোপা মুদ্রা মালেক, এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমেটেডের চেয়ারম্যান (সাবেক অতিরিক্ত সচিব) মো. সফিকুল ইসলাম, জাপান-বাংলাদেশএডুকেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (জেবিইএসডি) এর চেয়ারম্যান ও মিনোরী বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়া মামুন ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা। এ সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক (ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট) ও চিটাগাং স্টক একচেঞ্জ এর ডিরেক্টর ইস্তার মহল, এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল হোসেন, পরিচালকদের মধ্যে সন্তোষ কুমার দেব, নমিনেটেড ডিরেক্টর মো. নাসির শিকদার, মো. রুবেল সর্দার ও মো. মুরাদ হোসেন, ফু-ওয়াং ফুডসের নির্বাহী পরিচালক মো. সিদরাতুল মাহবুব হাসান, কোম্পানি সচিব মো. শরিফ আল মাহমুদ ও অন্যন্য কর্মকর্তা ও বিভিন্ন স্কুলের আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির লিগ্যাল এডভাইজর এডভোকেট মো. এমরান হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।  

এতে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত উল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। দেশের শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষিত হতে পারবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ভাষা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাপান যেতে পারবে। এছাড়া দক্ষ জনশক্তি জাপানে রপ্তানি করা যাবে। 

তিনি বলেন, জাপানে জনসংখ্যার ঘাটতি রয়েছে। এটিও জনসংখ্যা রপ্তানিতে বড় সুযোগ হতে পারে। এ সময় তিনি জাপান-বাংলাদেশ এডুকেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (জেবিইএসডি) এর চেয়ারম্যান ও মিনোরী বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়া মামুনকে ধন্যবাদ জানান। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডক্টর লেখ রাজ জুনিজা বলেন, জাপানে বর্তমানে দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে। ভাষা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাপান গেলে উন্নত জীবনের সুযোগ রয়েছে। 

ইউরোপ-আমেরিকাতে খাদ্য নি‌য়ে কাজ করেন জানিয়ে তিনি বলেন, জাপানে বয়স্কদের হার বেশি। এ মুহূর্তে তরুণ জনসংখ্যার ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশে জনসংখ্যার উপযুক্ত বাজার রয়েছে। তিনি বাংলাদেশকে অপার সম্ভাবনা হিসেবে উল্লেখ করেন।  

ঢাবির জাপানিজ স্ট্যাডিজের সহযোগী অধ্যাপক ড. লোপা মুদ্রা মালেক তার বক্তব্যে এ উদ্যোগ স্বাগত জানিয়ে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জেবিইএসডিকে সবধরনের সহযোগিতা করবে। 

এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমেটেডের চেয়ারম্যান (সাবেক অতরিক্ত সচিব) মো. সফিকুল ইসলাম এমন উদ্যোগকে তার বক্তব্যে দেশের জন্য ইতিবাচক দেখছেন বলে উল্লেখ করেন। 

জাপান-বাংলাদেশএডুকেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (জেবিইএসডি) এর চেয়ারম্যান ও মিনোরী বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়া মামুন বলেন, বছরে অন্তত দুই হাজার শিক্ষার্থীকে ভাষা প্রশিক্ষণ দিয়ে জাপানে পাঠানো হবে ইনশআল্লাহ। জাপানে এসব শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আবার বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে ফেরত পাঠানো হবে। 

বাংলাদেশে পাঁচশত জাপানি প্রতিষ্ঠান বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশিরাই কাজ করবে। যদি তারা জাপানিজ ভাষা জানে তাহলে তাদের জন্য কাজ পাওয়া সহজ হয়ে যাবে। জাপানিজ ভাষা শিখে বাংলাদেশে বিশাল চাকরির বাজার রয়েছে। বাংলাদেশি জনশক্তিকে কাজে লাগাতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম