Logo
Logo
×

জাতীয়

ডিমের হালি হাফসেঞ্চুরি ছাড়াল, নামছে ভোক্তা অধিদপ্তর

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৩, ০১:৪৬ পিএম

ডিমের হালি হাফসেঞ্চুরি ছাড়াল, নামছে ভোক্তা অধিদপ্তর

গরিব ও মধ্যবিত্তের আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিম। মাছ-মাংসের দাম বাড়তি থাকলে ডিম দিয়ে আমিষ ও প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হতো। এখন সেই ডিমের হালি হাফসেঞ্চুরি ছাড়িয়েছে।  

ঢাকার বাজারে প্রতিটি লেয়ার মুরগির ডিম ১৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস অবস্থা তৈরি হয়েছে।

বাজার স্বাভাবিক করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাঠে নামছে। 

ডিমের দামের এই রেকর্ড উল্লম্ফনের পেছনে কারসাজি রয়েছে কিনা, তার খুঁজে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডিম বিক্রেতারা সরবরাহ কমে যাওয়াকে কারণ দেখিয়েছেন এবং খামারিরা উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণ দেখাচ্ছেন— গত কিছু দিনের অতিরিক্ত গরমের পর এখনকার অতিবৃষ্টিকে।

এ অবস্থায় ডিমসংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে রোববার সভা ডাকা হয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে।

বর্ষাকালে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে প্রতি বছর এই সময় ডিমের দাম কিছুটা বাড়তি থাকে। তবে এবার দাম বৃদ্ধি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি ডিমের দাম ১৪ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। ডজন হিসাবে ডিমের দাম উঠেছে ১৬৫ টাকায়।

গত বছরের এই সময়ে প্রতি ডজন ডিমের দাম উঠেছিল ১৫৫ টাকা। তবে বর্ষা শেষে তা আবার কমে গিয়েছিল। গত মাস পর্যন্ত ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় ডিম বিক্রি হয়। এর পরই বাড়তে থাকে।

ডিমের দাম এত বেশি আগে কখনো না দেখার কথা জানিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, প্রান্তিক মানুষের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

পরিকল্পনা করে দাম বাড়ানো হচ্ছে কিনা, তা বের করতে অভিযানে নামছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে রাতের মধ্যেই প্রয়োজনীয় জায়গায় অভিযান চালানো হতে পারে।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম