জমিসহ ঘর পাচ্ছে ২২ হাজার ১০১ গৃহহীন পরিবার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৩, ১১:০২ পিএম
ফাইল ছবি
জমিসহ ঘর পাচ্ছে ২২ হাজার ১০১টি পরিবার। ৯ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারা দেশের বিভিন্ন উপজেলায় এসব তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ১২টি জেলার ১২৩টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা দেবেন তিনি।
তবে দেশের তিন জেলার তিনটি উপজেলায় আশ্রয়হীন মানুষের মাঝে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পরিচালক (যুগ্মসচিব) আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খুলনার তেরখাদা উপজেলার বারাসাত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প, পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প এবং নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের ২ শতক জমিসহ গৃহ হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী।
মুখ্যসচিব জানান, আশ্রয়ণসহ অন্যান্য ঘরের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৪১ লাখ ৪৮ হাজার ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ পুনর্বাসিত হয়েছেন। শুধু আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসিত হয়েছেন ২৮ লাখ মানুষ। উপকারভোগীর সংখ্যা ও পুনর্বাসন পদ্ধতি বিবেচনায় এটি বিশ্বের বৃহত্তম সরকারি পুনর্বাসন কর্মসূচি। দেশের সব উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজার স্থানে এসব গৃহ নির্মিত হয়েছে। উপকারভোগীদের বসতবাড়ির জন্য সারা দেশের প্রায় ২৪ হাজার একর খাসজমি ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়া দেশের ২১টি জেলার সব উপজেলাসহ ৩৩৪টি উপজেলার সব ভ‚মিহীন-গৃহহীন মানুষ পুনর্বাসিত হয়েছেন। এ পর্যায়ে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত হতে যাচ্ছে ১২টি জেলার সব উপজেলাসহ সারা দেশের ১২৩টি উপজেলা।
এই ১২ জেলা হচ্ছে মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, শুধু মুজিববর্ষের বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে পুনর্বাসিত হয়েছেন ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৩৫ ছিন্নমূল মানুষ। এক্ষেত্রে গৃহের সংখ্যা ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১। এছাড়া মুজিববর্ষের বিশেষ কর্মসূচিতে একক গৃহ নির্মাণের জন্য সারা দেশে উদ্ধার করা হয়েছে ৬ হাজার ২০০ একর খাসজমি। এসব জমির আনুমানিক স্থানীয় বাজারমূল্য ৩ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা।
এর বাইরে সারা দেশে কেনা হয়েছে ৩২৩ দশমিক ৭৮ একর জমি। জমি কেনার জন্য হালনাগাদ বরাদ্দের পরিমাণ ২১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। কেনা জমিতে পুনর্বাসিত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হালনাগাদ সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৪১। এর পাশাপাশি আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুরোনো জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে ২ হাজার ১৪৪টি।
এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্যসচিব বলেন, যারা গৃহহীন আছেন, আগে তাদের গৃহ দেওয়ার কাজ শেষ করা হবে। এরপর যাদের জমি আছে কিন্তু গৃহ জরাজীর্ণ, তাদের জন্যও বড় আকারে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। তবে এখনো কোথাও থেকে অনুরোধ এলে আমরা গৃহ করে দিচ্ছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমদিকে কিছু অভিযোগ এলেও এখন আর তেমন আসে না। কারণ, তখন যারা কাজ করেছেন তাদের জন্যও নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। এখন সংবাদকর্মীসহ সব পক্ষ থেকেই মনিটরিং করা হচ্ছে।