ইসহাক সরকারসহ বিএনপির ২১ নেতাকর্মীর দুই বছরের কারাদণ্ড
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৩, ১০:০৩ পিএম
গাড়ি ভাঙচুর ও টাকা ছিনতাইয়ের মামলায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ২১ জনের দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুল হকের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৬ জনকে খালাস দেন আদালত। এদিকে নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাজা প্রদানের ঘটনাও আরেকটি নতুন ‘ন্যাক্কারজনক’ দৃষ্টান্ত বলেছে বিএনপি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আসামি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তড়িঘড়ি রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। সঠিকভাবে বিচার হলে ন্যায়বিচার পেতাম। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।’
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার পর আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
২০১৩ সালের ২ অক্টোবর রাজধানীর কোতোয়ালি থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) এরশাদ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৮ মে আদালতে ইসহাক সরকারসহ ৫৭ জনের চার্জশিট দেন পুলিশের উপপরিদর্শক হাসানুজ্জামান। পরে আদালত এ মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ৩১ জুলাই রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন আদালত।
এ প্রসঙ্গে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার জানান, সোমবার ঢাকা সিএমএম আদালত তিনিসহ ২১ জন নেতাকর্মীকে দু’বছর সাজা দিয়েছেন। ২০১৩ সালের একটি রাজনৈতিক মামলায় এ সাজা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা-৭ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশি তিনি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে সরকারের নির্দেশে এ সাজা দেওয়া হলো। এ মামলায় কোন প্রমান পাননি, এমনকি স্বাক্ষীরাও বলেছেন তারা আসামীদের চেনেন না। তারপরও এ সাজা দেওয়া হলো।
তার বিরুদ্ধে ৩২৪টির মতো মামলা রয়েছে জানিয়ে ইসহাক সরকার বলেন, সবগুলোই রাজনৈতিক মামলা।
সোমবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আদালতে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ২১ জন নেতাকর্মীকে দু’বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। আমরা আগেই বলেছি, সরকারের নির্দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হচ্ছে। এসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাজা প্রদানের ঘটনাও আরেকটি নতুন ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত।’ তিনি অবিলম্বে সাজার আদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান প্রমুখ।