‘ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়িয়েছে জলবায়ুর পরিবর্তন'
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৯:৫২ পিএম
জলবায়ুর পরিবর্তন বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনাও এর প্রভাবক হিসাবে কাজ করেছে।
সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘পানি স্যানিটেশন ও জলবায়ু পরিবর্তনে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব এবং করণীয়’ শীর্ষক সভার আয়োজন করে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুওর-ডরপ এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ-সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইআইএসএসের গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবীর।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে মাহফুজ কবীর বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। এক ঋতুর সঙ্গে আরেক ঋতুর যে পার্থক্য, বাংলাদেশে তা বদলে যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। সেই সঙ্গে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সমস্যা। মৌসুম হোক বা না হোক, ডেঙ্গুর মতো বাহকনির্ভর রোগের প্রকোপ বাড়ছে শহর এলাকায়।
এই গবেষণা বলছে, আর্দ্রতা কমে আসার পাশাপাশি তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যতে দেশের রাজধানীসহ অন্যান্য শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়তে পারে। জলবায়ু যেভাবে বদলে যাচ্ছে, তাতে জনস্বাস্থ্যের ওপর এরই মধ্যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত কয়েক বছরে তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত এবং আর্দ্রতা হঠাৎ করে পরিবর্তিত হয়েছে। জলবায়ুর অসংগতির সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এবং পজিটিভ কেসও বেড়েছে। আবহাওয়ার অবস্থা ডেঙ্গু রোগের সঙ্গে যুক্ত। কারণ এডিস ইজিপ্টি’র বৃদ্ধি এবং জীবনচক্র বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং বায়ু দ্বারা প্রভাবিত হয়। এটি সরাসরি বা পরোক্ষভাবে হয়ে থাকে।
এছাড়া ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাত সাহায্য করেছে বলেও মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়।
গোলটেবিল আলোচনার সভাপতিত্ব করেন ডরপ’র নির্বাহী উপদেষ্টা মো. আজহার আলী তালুকদার। আরও বক্তব্য রাখেন সিপিআরডি প্রধান নির্বাহী মো শামসুদ্দোহা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিডিসি বিভাগের সাবেক প্রধান কীটতত্ববিদ মো. খলিলুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা) ডা. দাউদ আদনান ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি।