Logo
Logo
×

জাতীয়

রংপুরে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি করতে বিল পাস

Icon

সংসদ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৩, ১২:১৯ এএম

রংপুরে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি করতে বিল পাস

রংপুরে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি করতে বিল পাস

রংপুরে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করতে ‘শেখ রাসেল পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, রংপুর-২০২৩’ নামে নতুন একটি বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। বৃহস্পতিবার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি হয়।

এই একাডেমি পল্লী উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে ডিপ্লোমা, পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্স প্রবর্তন করতে পারবে। একাডেমির একজন মহাপরিচালক থাকবেন। তিনি সরকারের অন্যূন যুগ্মসচিবদের মধ্য থেকে নিযুক্ত হবেন বা সরকার নির্ধারিত মেয়াদ ও শর্তে যে কোনো ব্যক্তিকে নিযুক্ত করতে পারবেন। এসব কোর্স প্রবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্তসহ ওই বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত মান অনুসরণ করতে হবে।

বিলে বলা হয়েছে, এই একাডেমির প্রধান কার্যালয় হবে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলায়। একাডেমির পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব একটি বোর্ডের ওপর ন্যস্ত থাকবে। এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী।

সংসদে স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি (সংশোধন) বিল পাস: জাতীয় সংসদে স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি (সংশোধন) বিল ২০২৩ পাস হয়েছে। ভূমি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে জেলা জজকে ভূমি জরিপ (ল্যান্ড সার্ভে) আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক করার বিধান রেখে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বৃহস্পতিবার বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। পরে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।  

এতদিন আইনে বলা ছিল, ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক অথবা সাবেক বিচারক। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এই আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়নি। নতুন এই আইনে ভূমি জরিপ সংক্রান্ত মামলা নিস্পত্তির দীর্ঘসূত্রিতা কাটবে বলে ভূমিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া প্রয়োজনে সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজদেরও ল্যান্ড সার্ভে নিস্পত্তির জন্য ট্রাইব্যুনালে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে এমন বিধান রয়েছে বিলে। 

এ জন্য ১৯৫০ সালের স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্ট (রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন) সংশোধন করা হয়েছে। আগের আইনে বলা আছে, ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন যুগ্ম জেলা জজরা। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার এই বিচারক নিয়োগ দেবে।  

এই বিধানের সঙ্গে নতুন ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিচারক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সরকার যুগ্ম জেলা জজদের ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজের ক্ষমতা দিতে পারবে। এ ছাড়া ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনাল থেকে স্থানান্তর করা মামলা নিস্পত্তির জন্য সরকার এক বা একাধিক সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম