কর ফাঁকি: হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে ড. ইউনূসের আপিল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৩, ০১:১১ পিএম
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দাবি অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কর ফাঁকি বাবদ তিন বছরের জন্য বকেয়া ১২ কোটি টাকারও বেশি পরিশোধ করতে হবে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসকে। হাইকোর্টের এমন রায় স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আপিল করেছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান।
বৃহস্পতিবার সকালে তিনি এ আবেদন করেন। আজ চেম্বার আদালতে অবকাশকালীন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এটির শুনানি করতে পারেন।
এর আগে গত ৩১ মে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। কর ফাঁকি নিয়ে এটিই তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের প্রথম রায়।
রায় শেষে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হতেই ট্রাস্ট করেছেন ড. ইউনূস। মৃত্যুভীতি থেকে টাকা দেওয়াটা তার একটি কৌশল।
জানা গেছে, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে ড. ইউনূসকে নোটিশ পাঠায় এনবিআর। ২০১২-১৩ করবর্ষে আট কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে এক কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার টাকা দানকর দাবি করা হয়। আবার ২০১৩-১৪ করবর্ষে সাত কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে এক কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয় এনবিআর।
দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের ওই তিনটি নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন ড. ইউনূস। ট্যাক্স আপিল ট্রাইব্যুনালে এসব মামলা করা হয়। মামলায় ড. ইউনূসের দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এই কর দাবি করতে পারে না।
এর পর ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর তার আবেদন খারিজ করেন আদালত। এর পর ২০১৫ সালে তিনি হাইকোর্টে তিনটি রিট মামলা করেন। ওই মামলাগুলোর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।