রাজশাহীতে ভোট দিয়ে আ.লীগ-জাপা প্রার্থীর আলিঙ্গন
দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেসব ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা পৌঁছেছেন, তাদের ভোট নেওয়া হবে।
দুই সিটিতেই ভোটার উপস্থিতি তেমন বেশি ছিল না। সিলেটে পাঁচ ঘণ্টা পর ভোট পড়েছে ২০ শতাংশ। রাজশাহীতেও ২৬ থেকে ৩৩ শতাংশ ভোট পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
দুই সিটিতেই ভোটগ্রহণ হয়েছে ইভিএমে। কিছু কিছু কেন্দ্রে ছিল যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়েছে ভোট দিতে। এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন ভোটাররা।
সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী, নগরের ৪২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এখানে মেয়র পদে ৮ জন এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর পদে ৩৬০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৩৬৪টি। এর মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সিলেট সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন, মো. শাহ্ জামান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা। আর বরিশাল সিটি নির্বাচনের দিন দলের মেয়রপ্রার্থীর ওপর হামলার পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সিলেটের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আয়তন ৯৬ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটার। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২। এর মধ্যে নতুন ভোটারসংখ্যা ৩০ হাজার ১৫৭। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। হিজড়া ভোটার ৬ জন।
এই সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।