Logo
Logo
×

জাতীয়

ইউপি তথ্য সেবাকেন্দ্রের পরিচালনা বিধি নিয়ে হাইকোর্টের রুল

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৩, ১০:০১ পিএম

ইউপি তথ্য সেবাকেন্দ্রের পরিচালনা বিধি নিয়ে হাইকোর্টের রুল

ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রগুলোর (ইউআইএসসি) সেবার মান উন্নয়ন, কেন্দ্রগুলো সুচারুরূপে পরিচালনা সংক্রান্ত পরিপত্রের বিধি ২.৩ (ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার বিষয়ে উদ্যোক্তার সঙ্গে চুক্তিপত্র সই) কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার শেখ মো. সামিউল ইসলাম জুয়েল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ  মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল।

স্থানীয় সরকার সচিব, ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব, এ টু আই প্রজেক্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ও বিভিন্ন জেলার ডিসিসহ ৫২ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত সপ্তাহে হাইকোর্টে রিট করেন এমদাদুল হক, শেখ আবদুল্লাহ আল আমীন, আব্দুস সবুর, নোমান মিয়া ও সোলায়মান হোসেনসহ দেশের বিভিন্ন ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের ৩১৮ জন উদ্যোক্তা। রিটে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রগুলোর (ইউআইএসসি) সেবার মান উন্নয়ন ও কেন্দ্রগুলো সুচারুরূপে পরিচালনা সংক্রান্ত পরিপত্রের ২.৩ বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।

পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মো. সামিউল ইসলাম জুয়েল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ টু আই প্রজেক্টের অধীনে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা কাজ করে আসছিলেন। এসব উদ্যোক্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণ হয়েছে। 

পরবর্তী সময়ে তাদের আইসিটি থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তর করা হয়। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার মূলত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিসের পাশে ছোট একটি কক্ষে অফিস হিসেবে ব্যবহার হতো। তাদের উদ্দেশ্য হলো সরকারের ডিজিটাল প্রোগামকে বাস্তবায়ন করবে। মূলত মাঠ পর্চা বের করা ও ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করাসহ এ ধরনের কাজ করতেন তারা। পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিছু কিছু ব্যক্তিকে সরাসরি ইউনিয়ন ডিজিটাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে ২০১৩ সালে ইউআইএসসি সেবার মান উন্নয়ন ও কেন্দ্রগুলো সুচারুরূপে পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা করা হয়। এ নীতিমালার ২.৩ বিধিতে বলা আছে, ইউনিয়ন তথ্য সেবাকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার বিষয়ে উদ্যোক্তার সঙ্গে চুক্তিপত্র সই করা হবে। এ বিধির ফলে চেয়ারম্যানের সঙ্গে ইউনিয়ন ডিজিটাল অফিসার বা উদ্যোক্তাদের চুক্তি করতে বাধ্য করা হতো। এর মধ্যে কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ইউনিয়ন ডিজিটাল অফিসার নিয়োগ দিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন,  চুক্তিপত্রে সই করার বাধ্যবাধকতার কারণে ইউনিয়ন ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের বিভিন্নভাবে হ্যারেজমেন্ট করছেন চেয়ারম্যানরা। এ কারণে উদ্যোক্তাদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যে চুক্তি করতে হয়, এই অংশটুকু চ্যালেঞ্জ করে আমরা রিট করি। রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আমরা চাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরাসরি ইউনিয়ন ডিজিটাল অফিসার হিসেবে ও উদ্যোক্তা হিসেবে নিয়োগ দেবেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম